উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিয়ের আযযৌরে ১৩ জনকে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে চোখে ফেটী এঁটে প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হয়

সিরিয়ায় সহিংসতা বাড়ছেই বাড়ছে – গত সপ্তাহে হৌলায় শতাধিক মানুষের প্রাণ বিনাশ , এ মঙ্গলবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিয়ের আযযৌরে ১৩ জনকে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে চোখে ফেটী এঁটে প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে এমনিভাবে একেবারে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা – এসব দেখেশুনে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ দলের প্রধান রবার্ট মূড মন্তব্য করেছেন – গা শিউরে ওঠা এসব কাণ্ড দারুনরকম দুশ্চিন্তার উদ্রেক ঘটায় – এ একেবারেই অমার্জনীয় । আমাদের প্রশ্ন হলো কোফি আনানের মতো প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিশ্ব বরেন্য ,এবং একই সঙ্গে জাতিসংঘ ও আরব লীগের প্রতিনিধিত্বের মঞ্জুরীসহ একটা শান্তি পরিকল্পনা প্রনয়ণ করলেন , সেটা কার্যকর হচ্ছে না । সব মহল থেকে সমর্থন মিলছে না । বললেন রৌয বুশ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান খান । উইসকানসীন য়ুনিভার্সিটীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক জিল্লুর রহমান খান মন্তব্য করেন – শিয়া সূন্নী বিভাজন সিরিয়ায় গৃহযদ্ধের পরিবেশ খাড়া করছে বলে মনে হয় । ইতিমধ্যে , জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত সূযান রাইস মন্তব্য করেছেন – কোফি আনানের পরিকল্পনা যদি ভেস্তেই যায় – গৃহযুদ্ধই যদি দেখা দেয় , সেক্ষেত্রে দেশসমুহের জোটবদ্ধতায় সামরিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতেও পারে । এর আগে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রপক্ষিয় দেশগুলো শক্তিপ্রয়োগের বিরোধীতাই করেছে – সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহিদেরকে অস্ত্র সজ্জিত করার পক্ষে সায় দেয় নি । জিল্লুর রহমান খান বর্তমান সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন ভয়েস অফ এ্যামেরিকার বাংলা বিভাগের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে ।