যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী থেকে শুরু করে বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে করোনার মোকাবিলায় ভারতকে সাহায্যের কথা জানানোর পরদিন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস এই লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। গতকাল প্রথমে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ট্যুইটারে জানান, "ভারত যেমন আমাদের সঙ্কটের সময় সাহায্য পাঠিয়েছিল, আমরাও তেমন ভারতের প্রয়োজনে পাশে থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।" একই সুরে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হ্যারিস বলেছেন, "আমেরিকান সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছে। বাড়তি সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।"
পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ভারতীয় সময় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চলতি পরিস্থিতি নিয়ে দু'জনের মধ্যে কথা হয়। বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার পর মোদি ট্যুইট করে বলেন, "আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কার্যকর কথাবার্তা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য আমি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।" মোদি জানান, এদিনের আলোচনায় প্রতিষেধকের জন্য দরকারি কাঁচামাল, ওষুধের সুষ্ঠু সরবরাহ, অক্সিজেন, ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে। তাছাড়াও দরকারি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
Your browser doesn’t support HTML5
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন ভারত সফরে এসে বলেছেন, "ভারতে অতিমারি পরিস্থিতি নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমেরিকার সরকারি তরফে ভারতকে সব রকম সাহায্য করার জন্য আমি পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছি। অক্সিজেন সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, টেস্টিং কিট, পিপিই ইত্যাদি পরিবহনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সাহায্য করবে।"
আমেরিকার কর্পোরেট জগতের শীর্ষ কর্তারাও আলাদা আলাদা করে ভারতের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। গুগুল ও মাইক্রোসফট বেসরকারিভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।