গত সপ্তাহে মধ্য ফিলিপাইনে আঘাত হানা একটি শক্তিশালী টাইফুনে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে, কয়েক ডজন এখনও নিখোঁজ এবং বেশ কয়েকটি এলাকার লোকজন খাদ্য ও জলের জন্য মিনতি করছে।
সোমবার দেশটির জাতীয় পুলিশ জানিয়েছে, টাইফুন রাইয়ের ফলে ৫৬ জন এখনও নিখোঁজ এবং অন্তত ৫০০ জন আহত হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলে আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, কারণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং আটকে থাকা রাস্তার কারণে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছিল না।
শুক্রবার দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যাওয়ার আগে রাইয়ের প্রভাবে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে একটানা বাতাস বইছিল এবং ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা হাওয়া বয়েছিল।
মধ্য অঞ্চলের প্রদেশগুলিতে টাইফুনের আঘাতে ৭ লাখেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ৪ লাখের অধিক লোককে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে সপ্তাহান্তে সেবু এবং বোহোল এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দাদের জন্য পানীয় জল সরবরাহের সমস্যাগুলি সমাধান করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
জরুরী কর্মীরা অন্তত ২২৭টি শহর ও নগরে বিদ্যুৎ এবং সেলফোন পরিষেবা পুনরুদ্ধার করতে হিমশিম খেয়ে যান। তিনটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্যে অবস্থিত ফিলিপাইনে বছরে প্রায় ২০টি ঝড় এবং টাইফুন আঘাত হানে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দ্বীপপুঞ্জটি ভূকম্পনগতভাবে সক্রিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় "রিং অফ ফায়ার" অঞ্চলের সাথে অবস্থিত, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-প্রবণ দেশগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।