অনুষ্ঠানে প্রধান দুই বক্তা ছিলেন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন র্যাপ এবং আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান। মাইকেল গ্রেকো অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
গত মঙ্গলবার Washington DC তে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শীর্ষক এক আলোচনা সভা। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে American Bar Association এর Center for Human Rights। অনুষ্ঠানে প্রধান দুই বক্তা ছিলেন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন র্যাপ এবং আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন শাগুফতা নাসরিন কুইন। শুনুন তার রিপোর্ট।
American Bar Association (ABA) Center for Human Rights মঙ্গলবার Washington DC তে Georgetown বিশ্ববিদ্যালয়ের Law Centerএ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান দুই বক্তা ছিলেন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন র্যাপ এবং আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ যুক্তরাষ্টর পররাষ্ট্র দফতরের Office of Global Criminal Justice এর প্রধান। তিনি বহুবার বাংলাদেশে গেছেন এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিচার হচ্ছে তাদের কয়েকজনের আইনজীবী হচ্ছেন টোবি ক্যাডম্যান।
American Bar Association এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ABA International Criminal Court Project এর চেয়ারম্যান, মাইকেল গ্রেকো অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
মি গ্রেকো অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঘোষণা করেন যে বাংলাদেশ সরকারের একজন প্রতিনিধির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু সম্প্রতি তাদের জানানো হয়েছে যে কোন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছেন না।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ বলেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, যত লোক মারা গেছে তার জন্য যারা দায়ী তাদের অবশ্যই বিচার হতে হবে। তিনি বলেন যত সময়ই পার হোক না কেন অপরাধীদের বিচার হওয়া প্রযোজন। তবে রাষ্ট্রদূত র্যাপ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে ভাবে পরিচালনা করা হয়েছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান বলেন বাংলাদেশে যে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হযেছে তা একটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ অগ্রায্য করেছে।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ এই সংবাদদাতার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি নিশ্চিত করতে চান যে বিচারকাজ সুষ্ঠু ভাবে হবে।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ বলেন, “আমি চাই যে সবচাইতে বলিষ্ঠ সাক্ষ্যপ্রমাণ ব্যবহার করা হবে এবং বিবাদী সেই সব সাক্ষ প্রমাণ চ্যালেঞ্জ করার পক্ষ সম্পূর্ণ সুযোগ পাবে। আসামীরা যেন তাদের পক্ষে সাক্ষী হাজির করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে তা হয়নি।”
তিনি বলেন এমন প্রক্রিয়া হতে হবে যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ আরও বলেন, “আমরা আরও চাই সেই রকম রায় দেওয়া হবে যেগুলোতে তাদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্যপ্রমাণ ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রতিফলন থাকবে। যদি কোন মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় তাহলে দেখতে হবে সেখানে অকাট্য তথ্য প্রমাণ আছে এবং সর্বচ্চো মান বজায় রাখা হয়েছে।”
রাষ্ট্রদূত র্যাপ বলেন যে আসামীর প্রথম প্রাণদন্ড দেওয়া হয় তাদের সে ব্যাপারে প্রশ্ন ছিল।
এই সংবাদদাতার এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান বলেন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একেবারেই ভাল কাজ করতে পারেনি।
তিনি বলেন “তাদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূত র্যাপ তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। জাতিসংঘের কাছ থেকে তারা সুপারিশ পেয়েছেন। তারা সব কিছুই অগ্রায্য করেছে।”
আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান বলেন তিনি মনে করেন আন্তর্জাতিক তত্তাবধানে ট্রাইব্যুনালের কাজ হওয়া উচিৎ। তিনি বলেন তিনি মনে করেন বাংলাদেশের জনগনের সেটাই দাবী করা উচিত। তাদের সুবিচার দাবী করা উচিৎ।
তিনি বলেন “যাদের পরিবারের কেউ মারা গেছেন তারা দেখতে চাইবেন যারা দায়ী তাদের বিচার হোক। তারা পাকিস্তানি হোক বিহারী হোক ভারতীয় হোক কিংবা বাঙ্গালী হোক।”
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্দের সময়, পাকিস্তানি সেনা বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগী, রাজাকার, আল বদর যে গণ হত্যা চালায় তার তদন্ত ও বিচারের জন্য, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় ২০০৯ সালে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন শাগুফতা নাসরিন কুইন। শুনুন তার রিপোর্ট।
Your browser doesn’t support HTML5
অনুষ্ঠানে প্রধান দুই বক্তা ছিলেন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন র্যাপ এবং আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ যুক্তরাষ্টর পররাষ্ট্র দফতরের Office of Global Criminal Justice এর প্রধান। তিনি বহুবার বাংলাদেশে গেছেন এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিচার হচ্ছে তাদের কয়েকজনের আইনজীবী হচ্ছেন টোবি ক্যাডম্যান।
American Bar Association এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ABA International Criminal Court Project এর চেয়ারম্যান, মাইকেল গ্রেকো অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
মি গ্রেকো অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঘোষণা করেন যে বাংলাদেশ সরকারের একজন প্রতিনিধির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু সম্প্রতি তাদের জানানো হয়েছে যে কোন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছেন না।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ বলেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, যত লোক মারা গেছে তার জন্য যারা দায়ী তাদের অবশ্যই বিচার হতে হবে। তিনি বলেন যত সময়ই পার হোক না কেন অপরাধীদের বিচার হওয়া প্রযোজন। তবে রাষ্ট্রদূত র্যাপ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে ভাবে পরিচালনা করা হয়েছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান বলেন বাংলাদেশে যে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হযেছে তা একটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ অগ্রায্য করেছে।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ এই সংবাদদাতার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি নিশ্চিত করতে চান যে বিচারকাজ সুষ্ঠু ভাবে হবে।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ বলেন, “আমি চাই যে সবচাইতে বলিষ্ঠ সাক্ষ্যপ্রমাণ ব্যবহার করা হবে এবং বিবাদী সেই সব সাক্ষ প্রমাণ চ্যালেঞ্জ করার পক্ষ সম্পূর্ণ সুযোগ পাবে। আসামীরা যেন তাদের পক্ষে সাক্ষী হাজির করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে তা হয়নি।”
তিনি বলেন এমন প্রক্রিয়া হতে হবে যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে।
রাষ্ট্রদূত র্যাপ আরও বলেন, “আমরা আরও চাই সেই রকম রায় দেওয়া হবে যেগুলোতে তাদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্যপ্রমাণ ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রতিফলন থাকবে। যদি কোন মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় তাহলে দেখতে হবে সেখানে অকাট্য তথ্য প্রমাণ আছে এবং সর্বচ্চো মান বজায় রাখা হয়েছে।”
রাষ্ট্রদূত র্যাপ বলেন যে আসামীর প্রথম প্রাণদন্ড দেওয়া হয় তাদের সে ব্যাপারে প্রশ্ন ছিল।
এই সংবাদদাতার এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান বলেন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একেবারেই ভাল কাজ করতে পারেনি।
তিনি বলেন “তাদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূত র্যাপ তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। জাতিসংঘের কাছ থেকে তারা সুপারিশ পেয়েছেন। তারা সব কিছুই অগ্রায্য করেছে।”
আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান বলেন তিনি মনে করেন আন্তর্জাতিক তত্তাবধানে ট্রাইব্যুনালের কাজ হওয়া উচিৎ। তিনি বলেন তিনি মনে করেন বাংলাদেশের জনগনের সেটাই দাবী করা উচিত। তাদের সুবিচার দাবী করা উচিৎ।
তিনি বলেন “যাদের পরিবারের কেউ মারা গেছেন তারা দেখতে চাইবেন যারা দায়ী তাদের বিচার হোক। তারা পাকিস্তানি হোক বিহারী হোক ভারতীয় হোক কিংবা বাঙ্গালী হোক।”
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্দের সময়, পাকিস্তানি সেনা বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগী, রাজাকার, আল বদর যে গণ হত্যা চালায় তার তদন্ত ও বিচারের জন্য, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় ২০০৯ সালে।