কানাডায় পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার

পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী যিনি কয়েকদিন ধরে  নিখোঁজ ছিলেন তাঁকে আজ টরন্টোয় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৩৭ বছর বয়সী করিমা বালুচ, যিনি গত পাঁচ বছর ধরে নির্বাসনে কানাডায় বাস করছিলেন তিনি সংঘাতপূর্ণ বালুচিস্তান অঞ্চলের মানবাধিকারের পক্ষে অভিযান চালিয়ে আসছিলেন। মিজ বালুচ ২০১৫ সালে পাকিস্তান ছেড়ে আসেন এবং যেমনটি বিবিসি জানিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়।

পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী যিনি কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তাঁকে আজ টরন্টোয় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৩৭ বছর বয়সী করিমা বালুচ, যিনি গত পাঁচ বছর ধরে নির্বাসনে কানাডায় বাস করছিলেন তিনি সংঘাতপূর্ণ বালুচিস্তান অঞ্চলের মানবাধিকারের পক্ষে অভিযান চালিয়ে আসছিলেন। মিজ বালুচ ২০১৫ সালে পাকিস্তান ছেড়ে আসেন এবং যেমনটি বিবিসি জানিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়। বালুচিস্তানে বহুদিন ধরে বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলে আসছে। বিবিসি আরও জানিয়েছে যে কানাডায় আসবার আগে তিনি ছিলেন বর্তমানে নিষিদ্ধ বালুচ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশানের প্রথম নারী নেত্রী।

টরন্টো পুলিশ বলছে তিনি রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর কোন কারণ ঘোষণা করা হয়নি। তাঁর স্বামী হামাল হায়দার, ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে বলেন যে তিনি টরন্টোর সেন্ট্রাল আইল্যান্ডে হাঁটতে গিয়েছিলেন কিন্তু আর কখনো ফিরে আসেননি। তিনি বলেন তাঁর মনে হয়না তিনি আত্মহত্যা করেছেন । কানাডায় আসার আগেই পাকিস্তানে তাঁর বাড়িতে দু বার হানা দেয়া হয় এবং তাঁর চাচাকে হত্যা করা হয়। তাঁর বন্ধু লতিফ জোহার বালুচ বলেন যে করিমা বালুচ সম্প্রতি বেনামি হুমকি পেয়েছেন এই মর্মে যে তাঁকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। তাঁর বোন মাহগাঞ্জ বালুচ এ্ মৃত্যুকে পরিবারের এবং বালুচ জাতীয় আন্দোলনের জন্য বেদনাবিধুর ঘটনা বলে বর্ণনা করেন।

বালুচিস্তান ন্যাশনাল মুভমেন্ট মিজ বালুচের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর ৪০ দিনের শোক ঘোষণা করেছে।