পাকিস্তানে বিভিন্ন সংখ্যাতাত্বিক মডেল, সরকারের ফাঁস হ্ওয়া নথিপত্র এবং বিভিন্ন শহরে লোকজনের সাক্ষৎকারে বোঝা যাচ্ছে যে সেখানে কভিড ১৯ এ সংক্রমিত রোগির সংখ্যা এবং মৃতদের সংখ্যা অনেক কমিয়ে বলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান গতকাল ব্লুমবার্গ নিউজকে বলেছেন, সরকার যে খবর দিচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে দুই কিংবা তিনগুণ বেশি হতে পারে। বর্তমানে সরকারি ভাবে পাওয়া হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে পাকিস্তানে প্রায় এক লক্ষ ষাট হাজার লোক কভিড ১৯ এ সংক্রমিত হয়েছে এবং মারা গেছে প্রায় তিন হাজার লোক। তবে উপাত্ত বিজ্ঞানি এবং অন্যান্যরা আশংকা করছেন যে এরই মধ্যে লক্ষ লক্ষ লোক সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা গেছেন হাজার হাজার মানুষ।
শহরের জনসংখ্যা এবং নমুনার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়ার্কিং গ্রুপ হিসেব করেছেন যে একমাত্র লাহোরেই সংক্রমিত রোগির সংখ্যা ১৫ই মে ছিল ষাটষট্টি হাজার আটশ জন। যে হারে এই রোগ সংক্রমণ ঘটছে তাতে সংশ্লিষ্ট সকলেই শঙ্কিত হয়েছেন। একজন শীর্ষ জীবাণুবিদ, যিনি এই গ্রুপের অংশ তিনি বলেন আমাদের হিসেবে দেখা যাচ্ছে প্রতি দু সপ্তায় সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। সেই হিসেবে ১৫ই জুন লাহোরে সংক্রমিত রোগির সংখ্যা হবার কথা সাতাশ লক্ষ। এ সপ্তায় সরকার লাহোরসহ আরও কুড়িটি শহরকে করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল বলে ঘোষণা করেছে এবং শহরটির একাধিক এলাকায় লক ডাউন বলবৎ করেছে। গত সপ্তায় বালুচিস্তানের একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দাবি করেন যে ঐ প্রদেশের ৪০ শতাংশ লোকই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খানের সমালোচকরা বলছেন যে তিনি বার বার ভুল কথা বলে লোকজনকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং পাকিস্তানে অনেকেই ভেবেছে যে এই রোগ মারাত্মক কিছু নয়।