এবার বেইজিং অলিম্পিকের কূটনৈতিক বর্জনের সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটেন ও কানাডা

ফাইল ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চীনের বেইজিংয়ের শৌগাং পার্কে থাকা ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের লোগোর সামনে দিয়ে মানুষ হেঁটে যাচ্ছে। ডিসেম্বর ০১, ২০২১।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বুধবার ঘোষণা করেছেন যে, তার দেশও আগামী ফেব্রুয়ারীতে বেইজিংয়ে আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিক গেমসকে কূটনৈতিকভাবে বর্জন করবে।

শীতকালীন অলিম্পিক গেমসকে কূটনৈতিকভাবে বর্জনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্রিটেনও যোগ দেবে-- ঐ দেশটির এমন ঘোষণার পর জাস্টিন ট্রুডোও বর্জনের ঘোষণা দেন।

ট্রুডো বলেন, "চীন সরকারের বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। যে কারণে আজ আমরা ঘোষণা করছি যে, আমরা কোন কূটনৈতিক প্রতিনিধি পাঠাবো না"।

এর আগে, দিনের আরও আগের দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটেনের বর্জনের ঘোষণা দেন। সংসদে জনসন বলেন, "বেইজিংয়ের শীতকালীন অলিম্পিককে কার্যত কূটনৈতিকভাবে বর্জন করা হবে। কোন মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে মনে হচ্ছে না এবং কোন কর্মকর্তাও থাকবেন না"। তিনি আরও বলেন, তা সত্ত্বেও ক্রীড়াবিদরা অংশ নেবেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন না যে, 'খেলাধুলা বর্জন বিচক্ষণতার কাজ'।

যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার, বেইজিং গেমসে কূটনীতিক ও অন্যান্য কর্মকর্তা না পাঠানোর সিদ্ধান্তের সঙ্গে ব্রিটেন এবং কানাডাও যোগ দিল।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও ঐ একই ধরনের বর্জনের ঘোষণা দেন। ক্যানবেরায় বুধবার দেয়া ঐ ঘোষণার সময় মরিসন চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য ও কূটনৈতিক বিরোধ নিরসনের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বেইজিংয়ের রাজি না হওয়াসহ নানা বিষয়ের উল্লেখ করেন।

মরিসনের ঐ ঘোষণা চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন প্রত্যাখান করেন। বেইজিংয়ে তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবেন কিনা তাতে “কেউই আমল দেয় না”।

(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে )