মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী ৫ হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেবে সামরিক জান্তা 

মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ সিনিয়র জেনারেল মিং অং লাইং- ফাইল ফটো- এপি

সেনা-অভ্যুত্থান বিরোধী প্রতিবাদে অংশ নেয়ায় গ্রেফতার হওয়া ৫ হাজারেরও বেশী বন্দীকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সোমবার মিয়ানমারের সেনা জান্তা প্রধান।

জান্তা প্রধান মিং অং লাইং এক টেলিভিশন ভাষণে এই ঘোষণা দেন। অক্টোবরের ২৬ থেকে ২৮ পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রসমূহের সম্মেলনে মিং এবং অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজন নেতাকে বাদ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর মিং বন্দী মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিলেন।

আসিয়ান মিয়ানমারের একজন অরাজনৈতিক প্রতিনিধিকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দশ-জাতির এই আঞ্চলিক জোট মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ৫ দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামরিক জান্তার ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে মিং অং লাইংকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ হিসাবে দেখিয়েছে।

অসামরিক পোশাক পরে মিং অং লাইং টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, “সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্ররোচনায় সংঘাত অনেক বেশী হয়েছে”। তিনি আরও বলেছেন, “কেউ তাদের সংঘাতের প্রতি গুরুত্ব দেয় না, তাদের দাবী আমরা যেন সমস্যার সমাধান করি। আসিয়ানের উচিত এ ব্যাপারে কাজ করা”।

গত পহেলা ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের সেনা বাহিনী অং সাং সু চি-র নেতৃত্বে থাকা বেসামরিক সরকারের পতন ঘটানোর পর থেকে মিয়ানমারে নানা ধরণের অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর তথ্য অনুযায়ী দেশ জুড়ে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধীদের ওপর ধরপাকড় হয় এবং নানা স্থানে সংঘাতে ১১০০ জনেরও বেশী মানুষ নিহত হন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয় মানবিক দিক বিবেচনা করে ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে এবং সংঘাতের জন্যে ন্যাশনাল ইউনিটি সরকার (NUG) ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করা হয়েছে। NUG গঠিত হয় সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি্র অবশিষ্ট এবং অভ্যুত্থান বিরোধী গোষ্ঠীদের নিয়ে।

সেনা কর্তৃপক্ষ বলেছে গত নভেম্বরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে সু চির দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে জয়লাভ করায় তারা অসামরিক সরকারকে হঠিয়েছে।

(প্রতিবেদনটির কিছু তথ্য এএফপি থেকে নেয়া)