ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত বেনজিনা দ্বীপ থেকে মিয়ানমার, তাদের নাগরিকদের উদ্ধার করেছে। কয়েকটি মৎস কম্পানি, জেলেদের সেখানে আটকে রাখে এবং বলপূর্বক কাজ করায় কোন পারিশ্রমিক ছাড়া।
এ সম্পর্কে Theingi Htike এর লেখা রিপোর্ট। পড়ে শোনাচ্ছেন শাগুফতা নাসরিন কুইন।
Your browser doesn’t support HTML5
মিয়ানমার বলেছে ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত বেনজিনা দ্বীপ থেকে তাদের আরও বহু নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকটি মৎস কম্পানি, ওই দ্বীপে তাদের জোর করে আটকে রেখে সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে নিয়োগ করে।
জাকার্তায় মিয়ানমারের দূতাবাসের এক কর্মকর্তা Lwin Oo সোমবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন যে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মিয়ানমারের ১৭৪ নাগরিককে পাওয়া গেছে। তিনি বলেন ৪৫৫জনকে কাছাকাছি একটি দ্বীপে পাঠানো হয় তাদের শনাক্ত ও কাগজ পত্র ঠিকঠাক করার জন্য।
তিনি বলেন “আমরা এই মুহুর্তে সব খতিয়ে দেখছি এবং প্রতিনিধি দল এলে আমরা আলোচনা করবো। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। প্রতিনিধি দল এখন পথে আছেন এবং তারা পৌছনোর পর লোকজনদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজগুলো করবেন।,"
তিনি আরও বলেন যে মানব পাচার দমন বিষয়ক একজন কর্মকর্তা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলে আছেন। তারা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব যাচাই করবেন এবং তাদের দাস করে রাখা হয় বলে যে অভিযোগ প্রতিনিধি দল সেটাও যাচাই করে দেখবেন। তারপর তারা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক আদায় করে দিতে সাহায্য করবেন।
অ্যাসোশিয়েটেড প্রেস বার্তা সংস্থা, বেনজিনা দ্বীপনবিষয়ে এক বিশেষ তদন্ত চালায়। গত সপ্তাহে এপি প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয় যে শত শত পুরুষ যাদের অধিকাংশই মিয়ানমারের, তারা ওই দ্বীপে আটকা পড়েছে।
রিপোর্টটি প্রকাশ পাওয়ার পর, ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন যে তারা ৫৫০জন জেলেকে ওই দ্বীপে পেয়েছেন। তাদেরকে দাস করে রাখা হয়েছে। The International Organization for Migration (IOM) বা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন ইন্দোনেশীয় সরকার এবং বিদেশী দূতাবাসগুলোর সঙ্গে কাজ করছে, ওই মৎস কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য।