মিয়ানমারে সাধারণ মানুষের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞের খবরে জাতিসংঘ ‘শিহরিত’

কারেনি নাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স এর দেয়া ছবিতে মিয়ানমারের কায়াহ রাজ্যের একটি শহরে গাড়ীতে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। (ফাইল ফটো- এপি)

রবিবার জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেন যে মিয়ানমারে ৩০ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার বিশ্বাসযোগ্য খবর শুনে তিনি “শিহরিত”। মিয়ানমারের সরকারের কাছে এটি তদন্তের দাবি জানান তিনি।

পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে সংঘটিত এই ঘটনায় হামলার শিকার এবং পুড়িয়ে ফেলা গাড়িগুলোর মধ্যে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেভ দ্যা চিলড্রেনের দুই কর্মীর ব্যবহৃত একটি গাড়িও রয়েছে, যেই দুইজন ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

একটি পর্যবেক্ষক দল এবং স্থানীয় গণমাধ্যম সামরিক জান্তার সৈন্যদের এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি এই মর্মান্তিক ঘটনা এবং দেশজুড়ে বেসামরিক জনতার উপর সকল হামলার নিন্দা জানাচ্ছি”।

তিনি “একটি পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ তদন্তের” আহ্বান জানান।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া ছবিতে কায়াহ রাজ্যের হাপ্রুসো শহরের কাছের একটি হাইওয়েতে দুইটি পুড়ে যাওয়া ট্রাক এবং একটি গাড়ির ভেতর পুড়ে যাওয়া লাশের ছবি দেখা যাচ্ছে বলে প্রচার করা হয়।

শনিবার সেভ দ্যা চিলড্রেন জানায় যে মিয়ানমারে অবস্থিত তাদের দুইজন কর্মী এই ঘটনার “মধ্যে পড়ে যান” এবং তারপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

দাতব্য সংস্থাটি একটি বিবৃতিতে জানায় যে, ঐ দুইজন অঞ্চলটিতে মানবিক সাহায্যের কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনার পর থেকে কয়েকটি অঞ্চলে সংস্থাটি তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছে বলেও বিবৃতিতে যোগ করা হয়।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ইতোপূর্বে জানায় যে হাপ্রুসোতে শুক্রবার “সন্দেহজনকভাবে চালানো” সাতটি গাড়ি থামানোর চেষ্টা করা হলে তাদের সৈন্যদের ওপর হামলা করা হয়।

মুখপাত্র জাও মিন তুন বিস্তারিত কোন তথ্য না দিয়ে এএফপি কে বলেন যে ঘটনার পরের সংঘর্ষে সৈন্যদের হাতে কয়েকজন নিহত হয়।