আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা ও নেত্রীদের তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, যথেষ্ট সম্প্রীতির আবহাওয়ায় কথাবার্তা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে বিবিধ দাবির মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি সবচেয়ে আগে তুলেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরকে আবার রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তার জন্য প্রথমে এখন যে ডিলিমিটেশনের প্রক্রিয়া চলছে, সেটা যথাসম্ভব দ্রুত শেষ করতে হবে। এর পর ব্লক স্তরে নির্বাচন আরম্ভ হবে এবং আস্তে আস্তে রাজ্যস্তরে।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে আগে দরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে তার পুরনো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা। কাশ্মীরি নেতা সাজ্জাদ লোন জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি প্রাণহানি হওয়াও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস হবে তরুণ প্রজন্মকে নিরাপত্তা দেওয়া। জম্মু-কাশ্মীরের তরুণদের যদি আমরা সুযোগ দিতে পারি তা হলে সারা দেশের জন্য তারা অনেক কিছু ফিরিয়ে দেবে। মোদি বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে, থাকবে। কিন্তু রাজ্যের ও দেশের স্বার্থে কাজ করার ক্ষেত্রে তা যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।
তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ৫ই অগাস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাশ্মীরি নেতাদের বন্দি করে রাখা হয়েছিল। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে তিনজন-- ফারুক আব্দুল্লাহ, ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি টানা ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বন্দিজীবন যাপন করেছেন। আদালতের নির্দেশে মুক্তির পরেও তাই উভয়পক্ষের মধ্যে একটা তিক্ততা ছিল, অবিশ্বাস ছিল। সেইসব কাটিয়ে উঠে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থে এবং জাতীয় স্বার্থে এই বৈঠকে যোগ দেওয়া যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় অধিকাংশ নেতাই সহমত প্রকাশ করেছেন এবং রাজ্যের হিতের জন্য সকলে মিলে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।