পাচারকারীদের শিকার মো. কামারুজ্জামানের কাহিনী

Migrants from Bangladesh carry their belongings as they leave a refugee camp, before crossing the Myanmar-Bangladesh friendship bridge to return to Bangladesh, in Taungpyo, northern Rakhine state June 8, 2015. REUTERS/Soe Zeya Tun - RTX1FMFP

পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে জীবনবিনাশী সমুদ্র পথে মালয়েশিয়ার যাওয়ার সময় ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়াসহ ওই অঞ্চলের চারটি দেশে আশ্রয় পাওয়া কিংবা আটকদের মধ্যে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩০৮ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছেন ৬১ জন। সরকারের অনুরোধে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এবং জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচইআর-এর সহায়তায় তারা দেশে ফিরে এসেছেন। আইওএম এবং ইউএনএইচইআর-এর তথ্য মতে ২২৫৬ জন বাংলাদেশী এখন পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারে আশ্রয় পেয়েছেন। তবে আইওএম বলছে, এখনো পর্যন্ত ১২শ’র মতো অভিবাসী যাদের মধ্যে বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আইওএম-এর বাংলাদেশ মুখপাত্র আসিফ মুনীর এই তথ্য জানিয়েছেন।

দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেক বাংলাদেশী অবৈধভাবে সাগর পথে বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে করে মালয়েশিয়ার যাওয়ার সময় আশ্রয় পেয়েছেন ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায়, অথবা তাদের ঠাই হয়েছে থাইল্যান্ডের গহীন অরণ্যের কোনো ক্যাম্পে। এই সময়কালে যারা জীবনে বেচে গেছেন তাদের উপরে করা হয়েছে অবর্ণনীয়, অমানষিক নির্যাতন যা যেকোনো কল্পকাহিনীর ভয়ঙ্কর গল্পকেও হার মানায়। সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারপাশা গ্রামের মো. কামারুজ্জামান তাদেরই একজন। শেষ পর্যন্ত তার ঠাই হয় ইন্দোনেশিয়ায়। আইওএম এবং ইউএনএইচইআর সহযোগিতায় তিনি দেশে ফিরে এসেছেন ১২ জুন। কিভাবে কামারুজ্জামান দালালদের খপ্পরে পড়লেন, কিভাবে সমুদ্র পথে রওনা দিলেন স্বপ্নের মালয়েশিয়ায় এবং তারপরে নির্যাতন ও বিপন্ন যাত্রা, এ সব বিষয়েই মো. কামারুজ্জামান বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন এই প্রতিনিধির কাছে।

ঢাকা থেকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন আমীর খসরু।

Your browser doesn’t support HTML5

আমীর খসরুর রিপোর্ট পাচার