তালিবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান জুড়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে শুরু করেছে।কিছু ক্ষেত্রে নারীদের তাদের পুরুষ সহপাঠীদের থেকে আলাদা করতে ক্লাসরুমের মাঝখানে পর্দা বা বোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের বৃহত্তম শহর - কাবুল, কান্দাহার এবং হেরাত -এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আলাদা করা হচ্ছে। তাদের আলাদা করে পড়ানো হচ্ছে।ক্যাম্পাসের কিছু অংশে তাদের সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী, যিনি তার ক্লাসরুমে ফিরে যাবার পর দেখতে পান যে পুরুষ সহপাঠীদের থেকে তাদের আলাদা করা হয়েছে, জানান যে তালিবান আফগানিস্তান দখল করার আগেও নারী শিক্ষার্থীরা আলাদা বসতো কিন্তু বোর্ড বা পর্দা দিয়ে আলাদা করার কোন ব্যবস্থা ছিল না।
তালিবান গত সপ্তাহে জানিয়েছে যে স্কুলে পড়াশোনা আবার শুরু হওয়া উচিত কিন্তু নারী ও পুরুষদের আলাদা ব্যবস্থা করা উচিত।
তালিবান মুখপাত্র এমন পৃথক শ্রেণীর চিত্রটা কি হবে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
কিন্তু তালিবানের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান এই ধরনের বিভাজক "সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য" এবং আফগানিস্তানে "সীমিত সম্পদ এবং জনবল আছে, তাই আপাতত এটাই সর্বোত্তম উপায় যে একজন শিক্ষক শ্রেনী কক্ষের উভয় পাশেই শিক্ষাদান করবেন।
কাবুলের এভিসেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার করা ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। ক্লাসরুমের মাঝখানে একটি ধূসর পর্দা দেখা যাচ্ছে, যেখানে ছাত্রীরা বোরকা ও হিজাব পরে আছেন তবে তাদের চেহারা দেখা যাচ্ছে।
তালিবানের নির্দেশের ফলে ক্লাসরুমে এই পৃথকীকরণের ব্যবস্থা কিনা তা স্পষ্ট নয়। ১৯৯৬-২০০১ সালে যখন তালিবান ক্ষমতায় ছিল, তখন স্কুলে মেয়েরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মক্ষেত্রে নারীরা নিষিদ্ধ ছিল।