আধুনিক যুগের এক অনন্যা কবি, নাট্যকার, অভিনেত্রী, শিক্ষক আমেরিকার মায়া এঞ্জেলো। বুধবার, নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যে তার নিজের বাড়ীতেই নীরব হয়ে গেল আমেরিকান সাহিত্য জগতের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠ। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তার জীবন ও কর্ম নিয়ে ফেইথ লাপিডাসের প্রতিবেদন থেকে শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার ও শাগুফতা নাসরীন কুইন
১৯২৮ সালে মিসোরী রাজ্যের সেন্ট লুইস শহরে জন্ম কিন্তু শৈশবের বেশীরভাগ সময় কেটেছে আরকানসর ছোট্ট স্ট্যাম্প শহরে। নানীর পরিচর্যায়। মায়া নামকরণ করেছিল তার বড়ভাই। আর স্বামীর পদবী থেকে যোগ হয়েছিল এঞ্জেলো। হ্যাঁ যা বলছিলাম, বড় হয়ে ওঠার দিনগুলোয় - এ দেশে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য সময়টা ছিল চরম বর্ণবৈষম্য আর আর্থিক সংকটের সময়। তবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বংশ পরম্পরায় কিছু গল্পকথা, গান আর লোক সংস্কৃতির ধারা জীবনটাকে কিছুটা হলেও সহনীয় করে তুলেছিল।
মাত্র ৩০-৩২জনের জায়গা হয়, কৃষ্ণাদের জন্য এমনি এক গীর্জায় তারা সমবেত হতেন, মিলেমিশে ভক্তিমুলক গান গাইতেন। সেই গীর্জার চিত্রকলা, গান-বাজনা তার শিশুমনের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলতেন- ‘মানুষের জীবনে শিল্পকলার শক্তি যে কত বিশাল ওই ছোট্ট গীর্জাতেই বসেই আমি তা উপলব্ধি করেছি’।
সাত বছর বয়সে জীবনে বিরাট এক আঘাত আসে। তারপর ২টি বছর মায়া কোন কথা বলেননি। তারপর পরিবারের এক বন্ধু মিসেস ফ্লাওয়ার্স মায়াকে তার স্নেহ ভালবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিলেন। কবিতা লিখতে ও পড়তে উত্সাহ দিলেন। ৯ বছর বয়সে বালিকা মায়া কবিতার মাঝে তার মুক্তির সন্ধান খুঁজলেন। সাহিত্য জীবনের যেন সেখানেই শুরু। প্রখ্যাত লেখক জেমস বল্ডউইন এবং অন্যান্য বন্ধুবান্ধব তাকে সাহিত্য কর্মে উত্সাহিত করলেন। ১৯৬৯ সালে তার আত্মকথার প্রথম খণ্ড – ‘আই নো হোয়াই দ্য কেজড বার্ড সিঙ্গস’ প্রকাশিত হলো। লেখনী অবিরাম রচনা করে গেল প্রবন্ধ, নিবন্ধ – কবিতা – নাটিকা – চিত্রনাট্য। তিনি নাগরিক অধিকার আন্দোলনে ম্যালকম এক্স এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ারের সঙ্গে কাজ করেছেন।
তার রচনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন দেশের ছাত্র, শিক্ষক, প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কবি মায়া এঞ্জেলো শুনিয়েছিলেন অপূর্ব কবিতা।
আজ নতুন দিনের স্পন্দনে হয়তো দৃষ্টি প্রসারিত হবে সুদূরে এবং ওই আকাশসীমায়---- চোখ রাখিবে বোনের চোখের পরে --- হয়তো দৃষ্টি মেলিবে ভাইএর মুখায়বের ওপর। দেখিবে চাহিয়া আপন দেশকে আর তখন অতি সহজে, আশায় বুক বেঁধে বলিবে সুপ্রভাত।
১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসান ম্যাণ্ডেলা তার অভিষেক অনুষ্ঠানে মায়া এঞ্জেলোর কবিতা পাঠ করেন।
কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। যার মধ্যে আছে ন্যাশনাল মেডেল অফ আর্টস এবং প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম। তিন দশক ধরে শিক্ষকতা করেছেন ওয়েক ফরেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রায়ই তিনি তার নিজের পরিচয় এইভাবে তুলে ধরতেন – ‘আমি সাধারণ মানুষ, তাই মানুষের জীবনের ভাল-মন্দ সবই জড়িয়ে আছে আমার মাঝে’।
১৯২৮ সালে মিসোরী রাজ্যের সেন্ট লুইস শহরে জন্ম কিন্তু শৈশবের বেশীরভাগ সময় কেটেছে আরকানসর ছোট্ট স্ট্যাম্প শহরে। নানীর পরিচর্যায়। মায়া নামকরণ করেছিল তার বড়ভাই। আর স্বামীর পদবী থেকে যোগ হয়েছিল এঞ্জেলো। হ্যাঁ যা বলছিলাম, বড় হয়ে ওঠার দিনগুলোয় - এ দেশে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য সময়টা ছিল চরম বর্ণবৈষম্য আর আর্থিক সংকটের সময়। তবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বংশ পরম্পরায় কিছু গল্পকথা, গান আর লোক সংস্কৃতির ধারা জীবনটাকে কিছুটা হলেও সহনীয় করে তুলেছিল।
মাত্র ৩০-৩২জনের জায়গা হয়, কৃষ্ণাদের জন্য এমনি এক গীর্জায় তারা সমবেত হতেন, মিলেমিশে ভক্তিমুলক গান গাইতেন। সেই গীর্জার চিত্রকলা, গান-বাজনা তার শিশুমনের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলতেন- ‘মানুষের জীবনে শিল্পকলার শক্তি যে কত বিশাল ওই ছোট্ট গীর্জাতেই বসেই আমি তা উপলব্ধি করেছি’।
সাত বছর বয়সে জীবনে বিরাট এক আঘাত আসে। তারপর ২টি বছর মায়া কোন কথা বলেননি। তারপর পরিবারের এক বন্ধু মিসেস ফ্লাওয়ার্স মায়াকে তার স্নেহ ভালবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিলেন। কবিতা লিখতে ও পড়তে উত্সাহ দিলেন। ৯ বছর বয়সে বালিকা মায়া কবিতার মাঝে তার মুক্তির সন্ধান খুঁজলেন। সাহিত্য জীবনের যেন সেখানেই শুরু। প্রখ্যাত লেখক জেমস বল্ডউইন এবং অন্যান্য বন্ধুবান্ধব তাকে সাহিত্য কর্মে উত্সাহিত করলেন। ১৯৬৯ সালে তার আত্মকথার প্রথম খণ্ড – ‘আই নো হোয়াই দ্য কেজড বার্ড সিঙ্গস’ প্রকাশিত হলো। লেখনী অবিরাম রচনা করে গেল প্রবন্ধ, নিবন্ধ – কবিতা – নাটিকা – চিত্রনাট্য। তিনি নাগরিক অধিকার আন্দোলনে ম্যালকম এক্স এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ারের সঙ্গে কাজ করেছেন।
তার রচনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন দেশের ছাত্র, শিক্ষক, প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কবি মায়া এঞ্জেলো শুনিয়েছিলেন অপূর্ব কবিতা।
আজ নতুন দিনের স্পন্দনে হয়তো দৃষ্টি প্রসারিত হবে সুদূরে এবং ওই আকাশসীমায়---- চোখ রাখিবে বোনের চোখের পরে --- হয়তো দৃষ্টি মেলিবে ভাইএর মুখায়বের ওপর। দেখিবে চাহিয়া আপন দেশকে আর তখন অতি সহজে, আশায় বুক বেঁধে বলিবে সুপ্রভাত।
১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসান ম্যাণ্ডেলা তার অভিষেক অনুষ্ঠানে মায়া এঞ্জেলোর কবিতা পাঠ করেন।
কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। যার মধ্যে আছে ন্যাশনাল মেডেল অফ আর্টস এবং প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম। তিন দশক ধরে শিক্ষকতা করেছেন ওয়েক ফরেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রায়ই তিনি তার নিজের পরিচয় এইভাবে তুলে ধরতেন – ‘আমি সাধারণ মানুষ, তাই মানুষের জীবনের ভাল-মন্দ সবই জড়িয়ে আছে আমার মাঝে’।
Your browser doesn’t support HTML5