মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ায় বাংলাদেশীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকেই। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অভিযান শুরু হওয়ার পর ৫১০ জন অবৈধ বিদেশী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নানা সূত্রের খবর, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী রয়েছেন। যারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছিলেন। দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশী বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার শহীদুল ইসলাম এই সংবাদদাতাকে বলেন, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তারা সংগত কারণেই আতঙ্কিত। তবে দূতাবাসের তরফে সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২০১৪ থেকে গত ২৮শে আগস্ট পর্যন্ত ৮ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিভাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন। গত ৮ মাসে ৯৭১৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিভাসন বিষয়ক মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী জানিয়েছেন, এই সময়ে ২৯ হাজারেরও বেশি অবৈধ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ শ্রমিককে কাজ দেয়ার অভিযোগে ৮৮০ জন চাকরিদাতাকে জেলে নেয়া হয়েছে। এই অভিযান শুরু হওয়ার আগে মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মহাথির মোহাম্মদ বিশেষ এক সিদ্ধান্তের অধীনে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক নেয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। কুয়ালালামপুরে গত ৩ বছর ধরে আছেন মোহাম্মদ সোহাগ। তার কথায়, আমি আমার থাকার কাগজপত্র ঠিক করতে গত ১০ মাসে ১৩০০ ডলার ব্যয় করেছি। এই সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন অফিসে ২০ বার গিয়েছি। কিন্তু কোন সাড়া পাইনি।
মালয়েশিয়ার অভিভাসন দপ্তরের মহাপরিচালক দাতুক মোস্তাফার আলী আরও জানিয়েছেন, সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। তিনি বলেন, আধুনিককালের ক্রীতদাস হিসেবে যারা শ্রমিকদের গণ্য করছে তারাই চলতি অভিযানের মূল টার্গেট।
Your browser doesn’t support HTML5