ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট,ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার আফ্রিকার যুব সমাজের হতাশার মুখোমুখি হন। মহাদেশটির সঙ্গে সম্পর্কের নতুন দিক তৈরির লক্ষ্যে আয়োজিত এক শীর্ষ সম্মেলনে যে সব অভিযোগ উঠে আসে তার মধ্যে ছিল অভিবাসন সমস্যা এবং উপনিবেশবাদের চিহ্ন এখনও যে বহাল আছে সেই সব কথা।
বিশেষত তরুণ আফ্রিকানদের প্রতি ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করতে এই আফ্রিকা-ফ্রান্স সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন আনুমানিক ৩০০০ ব্যবসায়ী নেতা, শিল্প-কলাকুশলী ও ক্রীড়াবিদI দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর, মন্টপেলিয়ার'র এই শীর্ষ সম্মেলনে প্রাধান্য পেয়েছিলো ঐ অঞ্চলের বিভিন্ন সংকট।
ভূমধ্যসাগর ঘেঁষা সুদ দ্য ফ্রান্সের গোল টেবিল ভোজে অংশ নেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে উদ্দেশ্য করে এক নারী বলেন,"ইউরোপ যাওয়ার প্রচেষ্টায় সাগরে আফ্রিকান তরুণদের মৃত্যু আমি আর সহ্য করতে পারি না"I
গিনির একজন তরুণ গত মাসে তার দেশের সামরিক অভ্যুথানে দীর্ঘকালীন প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডে'র ক্ষমতাচ্যুতির পর এই অন্তর্বর্তী সময়ে সহযোগিতা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর প্রতি আবেদন জানান।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বুরকিনা ফাসো'র এক তরুণ বলেন, আফ্রিকার বহু দেশ, যারা ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল, তারা এখনো ফ্রান্সের ওপর “নির্ভরতার সম্পর্ক’ রেখেই কঠোর শ্রম করে যাচ্ছে, যার কারণে উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে রয়েছেI
১০০০'এরও বেশি তরুণ এই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। ফরাসি আয়োজকেরা এটিকে "শীর্ষ সম্মেলন” হিসাবে আখ্যা দিলেও, লক্ষণীয়ভাবে ম্যাক্রোঁ ছাড়া অন্যান্য নেতাদের সম্মেলনে অন্তর্ভুক্ত করেন নিI ফরাসি প্রেসিডেন্ট পরে সমাবেশের আযোজক ক্যামেরুনের বুদ্ধিজীবী গ্ৰুপ, আচিল মেবেম্বে'র মনোনীত ১২জন তরুণের সঙ্গে বিতর্কে অবতীর্ণ হবেনI
তিম্বুক্ত ইন্সিটিউট'র পরিচালক, বাকারী সামবে বলেন, "আমরা আশাবাদী যে মন্টপেলিয়ার'এর সম্মেলন নতুন যাত্রার সূচনা করবে, যখন বিশ্বের মানুষ শুনবে আফ্রিকা ও আফ্রিকার তরুণদের বক্তব্য। বিশ্ব ও ফ্রান্সকে তাদের বলার মতো অনেক কিছু্ই আছেI
(এএফপি)