ভারতে বিতর্কিত কাশ্মির অঞ্চলের একটি বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরকবাহিত ড্রোন হামলা করা হয়েছে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ জাতীয় ঘটনা ভারতে এটাই প্রথম বলে তারা অভিহিত করেছে।
ওই অঞ্চলের পুলিশ মহাপরিচালক দিলবাগ সিং রবিবার বেসরকারি নিউজ চ্যানেল নয়াদিল্লি টেলিভিশনকে বলেছেন, “উভয় বিস্ফোরণে পে-লোড সহ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল”। সিং এই আক্রমণকে সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বিস্ফোরণে দু'জন সেনা সামান্য আহত হয়েছেবলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক আধিকারিক জানিয়েছেন।
ভারতের বিমানবাহিনী এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, এই হামলার ফলে ভারত নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জম্মুতে অবস্থিত বেসের একটি ভবনের সামান্য ক্ষতি হয়, দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি একটি উন্মুক্ত জায়গায় আঘাত হানে। তবে কোনও সামরিক সরঞ্জাম এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।
ভারতবিরোধী বিদ্রোহীরা এই হামলাটি চালিয়েছে বলে প্রমাণিত হলে, সেটা হবে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে বড় ধরনের কৌশলগত পরিবর্তন। বিদ্রোহীরা প্রাথমিকভাবে অ্যাম্বুশ, হিট-এন্ড-রান আক্রমণ, রিমোট-নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ এবং গাড়ি বোমা ফেলার মতো ক্লাসিক গেরিলা কৌশল ব্যবহার করেছে।
হিমালয় পাদদেশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই তাদের নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে। ১৯৮৯ সাল থেকে বিদ্রোহীরা ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। বেশিরভাগ মুসলিম কাশ্মীরিরা এই বিদ্রোহীদের সমর্থন করে, এবং মনে করে এই অঞ্চলটি পাকিস্তানের শাসনের অধীনে কিংবা একটি স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।
নয়াদিল্লি কাশ্মীর বিদ্রোহীদের পাকিস্তান মদদে একটি সন্ত্রাসবাদী সংঘটন হিসেবে গণ্য করে। পাকিস্তান বরাবরই ভারতের এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং বেশিরভাগ কাশ্মীরি এটিকে বৈধ স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে অভিহিত করে।
উভয় দেশই তাদের নিজ নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের অংশগুলিতে গুপ্তচর ড্রোন চালানোর দাবি করে আসছে।