হাইতির প্রেসিডেন্টের হত্যায় জড়িত কলম্বিয়ার নাগরিককে বহিষ্কার করবে জামাইকা 

ফাইল ছবি, জনগণ হাইতির পোর্ট আউ প্রিন্সে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইস এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, ২০শে জুলাই, ২০২১, ছবি, রিকার্ডো আরডুএনগো/রয়টার্স

গত বছর হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসকে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ত কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর এক সাবেক সদস্যকে ৩ জানুয়ারী জামাইকা থেকে বহিষ্কার করে তার নিজের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জামাইকার অ্যাটর্নি জেনারেল শনিবার জানান।

৪৩ বছর বয়সী মারিও অ্যান্টোনিও পালাসিয়োস-এর বিরুদ্ধে হাইতির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ এনেছে যে ভাড়াটে একটি সৈন্যদলের এক অংশকে তিনি সংগঠিত করেন, যেই দলটি জুলাই মাসে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনে করা এক আক্রমণে মোইসেকে হত্যা করে। সেইঘটনায় তাঁর স্ত্রীও আহত হয়েছিলেন।

গত অক্টোবরে জ্যামাইকায় পালাসিয়োসকে গ্রেফতার করা হয় এবং ডোমিনিকান রিপাবলিক থেকে অবৈধভাবে সেই দেশে প্রবেশের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

জ্যামাইকার সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশের কারণে বহিষ্কারের একটি আদেশ জারি করে। তবে স্থানীয় পুলিশের এক মুখপাত্র জানান যে, ঐ দ্বীপ দেশটির সাথে হাইতির কোন আনুষ্ঠানিক প্রত্যার্পণ চুক্তি নেই।

রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্লিন মালাহু ফোর্তে বলেন, “সরবরাহকৃত তথ্যগুলো তাকে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত করে না, এবং বিস্তারিত তথ্য ব্যতীত মূলত এটা নির্দেশ করে যে তিনি সশস্ত্র ডাকাতির চেষ্টায় একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ছিলেন”। “হাইতির সরকারের কাছে থেকে আরও বিস্তারিত এবং নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করার আমাদের চেষ্টা সফল হয়নি ”।

তিনি বলেন যে পালাসিয়োস’র আইনজীবিরা কিংসটন-এর হরাইজন অ্যাডাল্ট রিম্যান্ড সেন্টার থেকে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন এই যুক্তি দেখিয়ে যে তাকে আটক রাখা বেআইনী।

এ বিষয়ে মতামতের অনুরোধ করা হলে, পালাসিয়োস’র আইনজীবিরা অথবা হাইতির সরকারি কর্মকর্তারা, কেউই তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।
{রয়টার্স}