হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বুধবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইরানে জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণীত নতুন আইন, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগকে খর্ব করে, নারীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
চলতি মাসের শেষের দিকে বিলটি আইনে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই আইনের আওতায়, গর্ভকালীন একজন নারীর স্বাস্থ্য হুমকির মুখে থাকলে, শিশুসহ পরিবারের অন্যান্যদের জন্য বিভিন্ন অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান, এবং জনস্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থায় বন্ধ্যাকরণ এবং বিনামূল্যে গর্ভনিরোধক সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা থাকবে।
এইচআরডব্লিউ-এর সিনিয়র ইরান বিষয়ক গবেষক, তারা সেপেহরি ফার বলেছেন: “ইরানি আইনপ্রণেতারা ইরানিদের জন্য অধিক গুরুতর সমস্যা, যেমন সরকারী অক্ষমতা, দুর্নীতি এবং দমন-পীড়ন রয়েছে, তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। উপরন্তু, এর পরিবর্তে নারীদের মৌলিক অধিকারের ওপর তাঁরা আক্রমণ করছেন”।
“জনসংখ্যা বৃদ্ধি সংক্রান্ত আইন স্পষ্টভাবে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার অধিকার, মর্যাদা এবং স্বাস্থ্যকে ক্ষুণ্ন করবে। পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং তথ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে”।
গত এক দশকে, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খাতে নারীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করে জনসংখ্যা বাড়ানোর নিমিত্তে, ইরান সে দেশের জনসংখ্যা নীতিকে পরিবার পরিকল্পনা এবং গর্ভনিরোধক অধিকার প্রদান থেকে বঞ্চিত করেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, নতুন আইনের বেশ কয়েকটি নিবন্ধ নিরাপদ গর্ভপাতের জন্য ইতোমধ্যে সীমাবদ্ধ সুযোগকে আরও সীমিত করেছে।
বর্তমানে, গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাসে বৈধভাবে গর্ভপাত করা যাবে, যদি তিনজন ডাক্তার সম্মত হন যে, গর্ভাবস্থা একজন মহিলার জীবনকে হুমকির সম্মুখীন করবে, কিংবা ভ্রূণের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা রয়েছে, যা মায়ের জন্য চরম কষ্টের সৃষ্টি করবে।