সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ , গ্রামীন ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রতিক উদ্যোগ সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এর ফলে ব্যাঙ্কটির পরিচালনার পরিষদে প্রধানত নারী ঋণগ্রহীতা ও অংশীদারদের ভূমিকা খর্ব করা হতে পারে। এ বিষয়টি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক Principal Assistant Secretary ‘র একটি বিশেষ সাক্ষৎকার ভিত্তিক রিপোর্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিনসিপাল ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী অফ স্টেট জেফ পায়টের কছে জানতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্র যে উদ্বেগ প্রকাশ করছে গ্রামীন ব্যাঙ্ক পরিচালনার বিষয়ে তার কারণ কি ?
মি পায়ট বলছেন যে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সজীবতা এবং এই সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো যে সাফল্য অর্জন করেছে অর্থনৈতিক এবং তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়নে , সেটি বাংলাদেশকে দিয়েছে নিজস্ব এক বৈশিষ্ট । আর এই সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে গ্রামীন ব্যাঙ্ক। সুতরাং আমরা ঐ ব্যাঙ্কটির অব্যাহত কার্যকারিতা , সংহতি ও স্বাধীনতা দেখতে আগ্রহী। সুতরাং আমাদের উদ্বেগ হচ্ছে যে এমন কোন পদক্ষেপ নেওযা উচিৎ নয় যা কীনা ব্যাঙ্ক পরিচালনায় প্রভাব ফেলবে এবং নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে গ্রাহক ও অংশীদারদের ভূমিকাকে খাটৌ করে। সুতরাং আমাদের কথা হচ্ছে যে ব্যাঙ্কটির নিয়ম-নীতি সেই ভাবেই সমুন্নত রাখা হোক যাতে বোর্ডের মহিলা সদস্যরা যথারীতি ব্যাঙ্কের পরিচালনায় তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে।
মি পায়টের কাছে আমরা জানতে চাই যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সচিব বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে প্রকৃত পক্ষে গ্রামীন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নন , বোর্ডই ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নিয়োগ দেবে এতে কি এ বিষয়টি নিয়ে কোন ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বে নিরসন ঘটছে
তিনি বলেন , দেখুন আমাদের মূল কথাটা হচ্ছে যে গ্রামীন ব্যাঙ্কের বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করুক এবং খুব ভালো হয় যদি এ ব্যাপারে ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ড ইউনুসের পরামর্শে তা করা হয়। আমরা এমন যে কোন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবো যা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে গোটা বোর্ডের ভুমিকাকে নিশ্চিত করে । আর যেমনটি গোড়াতেই বলেছি ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা রক্ষা করার ওপরই আমরা জোর দিচ্ছি যা কীনা ব্যাঙ্কের সকল গ্রাহক –অংশীদারের স্বার্থের অনুকুল হবে।
ড ইউনুসের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দিয়েছে যে ৬০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে ড ইউনুস গ্রামীন ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে
যে বেতন এবং ভাতা পেয়েছেন তা বৈধ হয়েছে কীনা সেটা খতিয়ে দেখতে । নোবেল বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে কোন সম্ভাব্য ব্যবস্থা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মন্তব্য কি ?
পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিনসিপাল ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারী বলেন যে দেখুন প্রথমত আমরা ড ইউনুসকে, একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে , বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম একজন সফল নেতা হিসেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সম্মানিত একজন ব্যক্তি হিসেব গভীর ভাবে শ্রদ্ধা করি। তিনি বলেন যে অবিশ্বাস্য রকমের চমকপ্রদ কাজ যে তার স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটি করছে সেটি দেখার অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছিল। তবে এ কথা বলে ও বলবো যে বাংলাদেশের নিজস্ব আইন সমুন্নত রাখতে হবে। অবশ্য শ্রোতাদের এ কথাও জানাতে চাই যে গ্রামিন ব্যাঙ্ক ‘এ ড ই্উনুসের কাজ বাংলাদেশের জন্যে বিশাল সম্মান নিয়ে এসছে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগ সম্পর্কে এক মন্তব্যে মি পায়ট বলেন যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কথা যদি বলেন তা হলে বলবো যে চট্টগামে এই পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি এবং এই মূহুর্তে আশা করছি যে বাংলাদেশ সরকার সে দেশে বসবাসরত রোহিংগা শরনার্থিদের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তাপ্রদানকারী কোন কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে তাদের ব্যক্ত অভিমতকে পুনর্মূল্যায়ন করে দেখবে । তিনি আরও বলেন যে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রস্তুত হয়ে আছে। সমস্যা মুখোমুখি রোহিঙ্গাদের জন্যে আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে মানবিক কাজ করতে বাংলাদেশ অনুমতি দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গ্রামীন ব্যাঙ্ক কিংবা অধ্যাপক ইউনুসের ব্যাপারে সরকার যে রকম ব্যবস্থাই নিক না কেন , তাতে কি বাংলদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে সম্পর্কে কোন রকম নেতিবাচক ছায়াপাত ঘটবে , আমার এই প্রশ্নের জবাবে মি পায়ট বলেন যে বিষয়টিকে আরো্ ইতিবাচক ভাবে দেখতে হবে। গ্রামীন ব্যাঙ্কের সাফল্য এবং বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সাফল্য আসলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এবং বাংলাদেশের জনগণ যে সাফল্য অর্জন করছে তার প্র্তি আমাদের সম্মানেরই অংশ। ইতিবাচক ভাবে দেখলে বলবো যে গ্রামীন ব্যাঙ্ক একটি সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরে। এতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সব রাজনৈতিক নেতারই অহঙ্কার করার কথা। আর আমরা আশা করবো যে সরকার এবং নের্তৃবৃন্দ এমন ব্যবস্থা নেবেন যাতে সেই সা্ফল্যের কথা সংরক্ষিত থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিনসিপাল ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী অফ স্টেট জেফ পায়টের কছে জানতে চাই যে যুক্তরাষ্ট্র যে উদ্বেগ প্রকাশ করছে গ্রামীন ব্যাঙ্ক পরিচালনার বিষয়ে তার কারণ কি ?
মি পায়ট বলছেন যে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সজীবতা এবং এই সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো যে সাফল্য অর্জন করেছে অর্থনৈতিক এবং তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়নে , সেটি বাংলাদেশকে দিয়েছে নিজস্ব এক বৈশিষ্ট । আর এই সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে গ্রামীন ব্যাঙ্ক। সুতরাং আমরা ঐ ব্যাঙ্কটির অব্যাহত কার্যকারিতা , সংহতি ও স্বাধীনতা দেখতে আগ্রহী। সুতরাং আমাদের উদ্বেগ হচ্ছে যে এমন কোন পদক্ষেপ নেওযা উচিৎ নয় যা কীনা ব্যাঙ্ক পরিচালনায় প্রভাব ফেলবে এবং নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে গ্রাহক ও অংশীদারদের ভূমিকাকে খাটৌ করে। সুতরাং আমাদের কথা হচ্ছে যে ব্যাঙ্কটির নিয়ম-নীতি সেই ভাবেই সমুন্নত রাখা হোক যাতে বোর্ডের মহিলা সদস্যরা যথারীতি ব্যাঙ্কের পরিচালনায় তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে।
মি পায়টের কাছে আমরা জানতে চাই যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সচিব বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে প্রকৃত পক্ষে গ্রামীন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নন , বোর্ডই ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নিয়োগ দেবে এতে কি এ বিষয়টি নিয়ে কোন ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বে নিরসন ঘটছে
তিনি বলেন , দেখুন আমাদের মূল কথাটা হচ্ছে যে গ্রামীন ব্যাঙ্কের বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করুক এবং খুব ভালো হয় যদি এ ব্যাপারে ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ড ইউনুসের পরামর্শে তা করা হয়। আমরা এমন যে কোন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবো যা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে গোটা বোর্ডের ভুমিকাকে নিশ্চিত করে । আর যেমনটি গোড়াতেই বলেছি ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা রক্ষা করার ওপরই আমরা জোর দিচ্ছি যা কীনা ব্যাঙ্কের সকল গ্রাহক –অংশীদারের স্বার্থের অনুকুল হবে।
ড ইউনুসের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দিয়েছে যে ৬০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে ড ইউনুস গ্রামীন ব্যাঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে
যে বেতন এবং ভাতা পেয়েছেন তা বৈধ হয়েছে কীনা সেটা খতিয়ে দেখতে । নোবেল বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে কোন সম্ভাব্য ব্যবস্থা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মন্তব্য কি ?
পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিনসিপাল ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারী বলেন যে দেখুন প্রথমত আমরা ড ইউনুসকে, একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে , বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম একজন সফল নেতা হিসেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সম্মানিত একজন ব্যক্তি হিসেব গভীর ভাবে শ্রদ্ধা করি। তিনি বলেন যে অবিশ্বাস্য রকমের চমকপ্রদ কাজ যে তার স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটি করছে সেটি দেখার অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছিল। তবে এ কথা বলে ও বলবো যে বাংলাদেশের নিজস্ব আইন সমুন্নত রাখতে হবে। অবশ্য শ্রোতাদের এ কথাও জানাতে চাই যে গ্রামিন ব্যাঙ্ক ‘এ ড ই্উনুসের কাজ বাংলাদেশের জন্যে বিশাল সম্মান নিয়ে এসছে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগ সম্পর্কে এক মন্তব্যে মি পায়ট বলেন যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কথা যদি বলেন তা হলে বলবো যে চট্টগামে এই পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি এবং এই মূহুর্তে আশা করছি যে বাংলাদেশ সরকার সে দেশে বসবাসরত রোহিংগা শরনার্থিদের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তাপ্রদানকারী কোন কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে তাদের ব্যক্ত অভিমতকে পুনর্মূল্যায়ন করে দেখবে । তিনি আরও বলেন যে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রস্তুত হয়ে আছে। সমস্যা মুখোমুখি রোহিঙ্গাদের জন্যে আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে মানবিক কাজ করতে বাংলাদেশ অনুমতি দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গ্রামীন ব্যাঙ্ক কিংবা অধ্যাপক ইউনুসের ব্যাপারে সরকার যে রকম ব্যবস্থাই নিক না কেন , তাতে কি বাংলদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে সম্পর্কে কোন রকম নেতিবাচক ছায়াপাত ঘটবে , আমার এই প্রশ্নের জবাবে মি পায়ট বলেন যে বিষয়টিকে আরো্ ইতিবাচক ভাবে দেখতে হবে। গ্রামীন ব্যাঙ্কের সাফল্য এবং বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সাফল্য আসলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এবং বাংলাদেশের জনগণ যে সাফল্য অর্জন করছে তার প্র্তি আমাদের সম্মানেরই অংশ। ইতিবাচক ভাবে দেখলে বলবো যে গ্রামীন ব্যাঙ্ক একটি সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরে। এতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সব রাজনৈতিক নেতারই অহঙ্কার করার কথা। আর আমরা আশা করবো যে সরকার এবং নের্তৃবৃন্দ এমন ব্যবস্থা নেবেন যাতে সেই সা্ফল্যের কথা সংরক্ষিত থাকে।
Your browser doesn’t support HTML5