করাচিতে বিধ্বস্ত বিমানের ৯৭ জন যাত্রী নিহত হলেও দুজন প্রাণে বেঁচে গেছেন

পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে যে গতকাল করাচিতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হ্ওয়ায় ৯৭ জন নিহত এবং দু জন প্রাণে বেঁচে গেছেন। এই যাত্রীবাহী বিমানটি গতকাল বিকেলে পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে অবতরণের কয়েক মিনিট আগে একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয় এবং সেখানকার সরু রাস্তার উভয় পাশের ভবনগুলোও ভেঙ্গে পড়ে। পাকিস্তান এয়ারলাইন্স’এর পাইলটস এসোসিয়েশান বলছে যে ঘটনার তদন্তে তাদেরও অংশ নিতে হবে। তারা এই তদন্ত দলে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা এবং এয়ার লাইন্স পাইলট এসোসিয়েশানগুলোর আন্তর্জাতিক ফেডারেশনকেও আহ্বান জানিয়েছে।

সেই এলাকার সরু রাস্তা ছাড়াও প্রচন্ড ধূলো, ধোঁয়া এবং তাপের জন্য উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটে । পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্স ‘এর এই এয়ারবাস এ-৩২০ লাহোর থেকে করাচিতে এসে মডেল কলোনি বলে পরিচিত একটি এলাকার উপর বিধ্বস্ত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন যে বিমানটি সেখানকার দরিদ্র এবং ঘনবসতিপূর্ণ ঐ অঞ্চলে পড়ে যাবার আগে দু তিনবার অবতরণের চেষ্টা করেছিল। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে যে বিমানটির একটি এঞ্জিন থেকে আগুনের শিখা বেরুচ্ছিল।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইট বার্তায় লেখেন যে পি আই এ‘র এই বিমানটি বিধ্বস্ত হ্ওয়ায় তিনি গভীর ভাবে দুঃখিত আর এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। তিনি নিহতদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা ও শোকবার্তার কথা বলেন। ঐ বিমানটির ধারণ ক্ষমতা ছিল প্রায় ১৬০ জন যাত্রী কিন্তু শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশিকার জন্য সেখানে স্বল্প সংখ্যক যাত্রীকেই নেয়া হয়। গতকালের এই বিমান দুর্ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটলো যখন পাকিস্তানিরা রমজানের শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্যে বাড়ি ফিরছিলেন।