ইরানের অন্যতম একজন প্রখ্যাত কারারুদ্ধ ভিন্ন মতাবলম্বীকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কারাগার থেকে সাময়িকভাবে মুক্তি না দেয়ার জন্য তাঁর স্বামী ইরানি কর্তৃপক্ষের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলছেন যে তাঁর স্ত্রীর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। ভয়েস অফ আমেরিকার ফার্সি বিভাগের সঙ্গে গতকাল এক সাক্ষাৎকারে রেজা খানদান বলেন যে ইরানি সরকার যখন ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখার জন্য হাজার হাজার অপরাধীকে মুক্তি দিয়েছে তখনও তাঁর স্ত্রী, নসরিন সোতোদেহ’র মতো ভিন্ন মতাবলম্বীদের সাময়িক ভাবে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। খানদান বলেন ইরানের কারাগারগুলোতে যখন করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে তখন এই বিপজ্জনক সময়ে কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বন্দিদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
সোতোদেহ হচ্ছেন ইরানের আইনজীবি যাঁকে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে তেহরানের ইভিন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তাঁর স্বামী খানদান এর আগে বলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে কথিত জাতীয় নিরাপত্তামূলক অপরাধের জন্যে তাঁকে তিরিশ বছরেরও বেশি সময়ের জন্য কারাদন্ড দেয়া হয়। ইরানি নারীরা তাদের ইসলামি শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ হিজাব এবং মাথার কাপড় সরিয়ে ফেলায় তাদের গ্রেপ্তার করার পর সরকারী মামলায় সোতোদহ তাঁদের পক্ষের কৌসুলি ছিলেন। এই সব অজুহাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান বহু মানবাধিকার কর্মীকে আটক করেছে।
খানদান বলেন আইনজীবিদের প্রতি এই আচরণ এই বার্তাই দিচ্ছে যে, এই সরকারের কাছে আইন ও বিচার অর্থহীন ব্যাপার। খানদানকেও ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আটক করা হয় কারণ তিনি তাঁর স্ত্রীর মুক্তির জন্য প্রকাশ্যে প্রচার অভিযান চালাচ্ছিলেন, তবে তিন মাস পর তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়। মানবাধিকার দপ্তরকে দেয়া পৃথক এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে খানদান বলেন তিনি তাঁর স্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। খানদান ইরানের বিবেক বন্দিদের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানান।