সাংবাদিক জামাল খাশোকজির হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার গতকাল থেকে তুরস্কে শুরু হয়েছে। তবে এই হত্যার জন্য অভিযুক্ত ২০ জন সৌদি নাগরিকদের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
খাশোকজির বাগদত্তা হাতিজ চেংগিস ইস্তাম্বুলে আদালতকে জানান যে যে, সেখানকার সৌদি কনসুলেটের ভেতরে লোভ দেখিয়ে ঐ সাংবাদিককে নিয়ে যেতে অভিযুক্তরা বড় রকমের প্রতারণার আশ্রয় নেয়। চেংগিজ আদালত ভবনের বাইরে সংবাদদাতাদের বলেন আমরা ন্যায়বিচার চা্ওয়া অব্যাহত রাখবো, কেবল তুরস্কের ভেতরেই নয় বরঞ্চ পারলে সব জায়গাতেই।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক খাশোকজি ২০১৮ সালে সৌদি কনসুলেটে কিচু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন যার ফলে তিনি তুর্কি নাগরিক চেংগিজকে বিয়ে করতে পারতেন। চেংগিজ যখন বাইরে অপেক্ষারত ছিলেন, তখন তাঁকে কনসুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়। এই হত্যা বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সঞ্চার করে। এই সাংবাদিক ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার জন্য কলাম লিখতেন এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সুপরিচিত সমালোচক ছিলেন। যুবরাজের দু জন সহযোগীসহ ২০ জন আসামির প্রত্যেকেই সৌদি আরবে ফিরে গেছেন এবং বিচারের লক্ষ্যে তাঁদেরকে তুরস্কে পাঠানোর জন্য তুর্কি অনুরোধ সৌদি আরব নাকচ করে দিয়েছে। কোন কোন লোকের বিচার সৌদি আরবেই হয়েছে, রুদ্ধ দ্বার কক্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সি আই এ যথেষ্ট আস্থার সঙ্গেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছোয় যে যুবরাজই এই হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন । তবে যুবরাজ এর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।