আমেরিকান দূত জালমে খলিলজাদকে আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট হত্যার পরিকল্পনা করছে

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন তাঁরা তালিবানের এই দাবি সম্পর্কে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছেন যে, সে দেশের শান্তির জন্য আমেরিকান দূত জালমে খলিলজাদকে আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট হত্যার পরিকল্পনা করছে। তালিবান সম্প্রতি সাংবাদিকদের ভিডিওতে দু জন চোখ বাঁধা লোককে দেখায় এবং জানায় যে এদেরকে খলিল জাদকে হত্যার লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্য আত্মঘাতী মিশনের জন্য ইসলামিক স্টেট দলে ভর্তি করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্রের কাছে ভয়েস অফ আমেরিকা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে কোন সম্ভাব্য হুমকিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকে। মুখপাত্রটি বলেন যে আফগান সরকারের কর্তৃপক্ষরা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও ঐ ভিডিওর ব্যাপারে তদন্ত করছেন। খলিলজাদ যুক্তরাষ্ট্রের সেই দলের নেতৃত্ব দেন যারা কীনা আলাপ আলোচনার পর ফেব্রুয়ারি মাসে তালিবানের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে যার লক্ষ্য হচ্ছে ১৯ বছর ব্যাপী আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

আটক এই দুই ব্যক্তি পশতু ভাষায় দেয়া তাদের স্বীকারোক্তির গূঢ় অর্থ ছিল এই যে আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা National Directorate of Security(NDS) এর প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের দূতকে হত্যার ষড়যন্ত্রে সহযোগিতা করেন। তারা NDS এর সাবেক প্রধান রহমাতুল্লাহ নাবিলকে তাদের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি বলে উল্লেখ করে। নাবিল দ্রুতই এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং সামাজিক মাধ্যমে তালিবানের প্রকাশ করা সাত মিনিটের এই ভিডিওকে তিনি ভূয়া বলে প্রত্যাখ্যান করেন। তবে এই সম্ভাব্য ঘাতকরা তাদের ভিডিও স্বীকারোক্তিতে দাবি করে গত মাসে আফগানিস্তান সফরের সময়ে খলিলজাদ আফগান জিহাদি নেতা হামিদ গায়লানির কাবুল বাসভবনে গেলে ঐ বাসভবনের সামনে আত্মঘাতী গাড়ি বোমায় তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

কিন্তু আমেরিকান রাষ্ট্রদূত সেদিন সেখানে যাননি এবং তাদেরকে ১০দিন পর লোগার প্রদেশে আরেক জনের কাছে হাজির হবার কথা বলা হয় বলে তারা জানায়। তারা আরও বলে যে একটি তল্লাশি চৌকিতে তালিবান বিদ্রোহীরা তাদের আটক করে যখন তাদের কাছে NDS এর পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগও জঙ্গিদের এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।