প্রতিদিনই যখন বেশ কয়েক হাজার মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছেন প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত করোনা রোগী, এমন পরিস্থিতিতেও মানুষ বর্তমান সময়ে এসে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেই যাচ্ছেন না। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, আস্থাহীনতা বড়মাত্রার বলেই মানুষ হাসপাতালমুখী হতে চান না। স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য মোতাবেক, ঢাকা মহানগরীসহ দেশে করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি এবং নির্ধারিত বিশেষায়িত হাসপাতাল ও করোনা চিকিৎসা পাওয়া যায় এমন ২০টির বেশি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা রয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৮টি। বর্তমানে এর ৭০ শতাংশই খালি পড়ে আছে। আর এসব হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ রয়েছে ৫৩৫টি- যার মধ্যে ৫০ শতাংশই রোগীশূন্য অর্থাৎ খালি পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে আস্থাহীনতার জন্য বলে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ঢাকার বারডেম হাসপাতালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হেলথ সায়েন্স জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আব্দুল মজিদ।
অবশ্য হাসপাতালের চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা ও সংকটজনিত আস্থাহীনতার কথা বলেছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থা বা আইইডিসিআর-এর সাবেক পরিচালক ডা. বেনজীর আহমদ।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নবনিযুক্ত মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বুধবার বলেছেন, আস্থা ফিরিয়ে আনাই তার এই মুহূর্তের প্রধান লক্ষ্য।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, হাসপাতাল বিমুখ পরিস্থিতি করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে আরও ৩৫ জন মারা গেছেন এবং এ নিয়ে মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৫ জনে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯ জন। আর এ নিয়ে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জনে।