তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের দমন অভিযানের স্মারক ভাস্কর্য সরিয়ে নিলো হংকং-এর একটি বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৮৯ সালের ৪ঠা জুন চীনের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রপন্থীদের ওপর চালানো দমন অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থদের স্মরণে ড্যানিশ ভাস্কর জেন্স গ্যালশুটের তৈরি আট মিটার উঁচু ভাস্কর্য "পিলার অব শেম" হংকং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সরানোর আগের ছবি। (টায়রণ সিউ/ রয়টার্স)

১৯৮৯ সালে চীনের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভের ওপর চালানো দমন অভিযান স্মরণে করা একটি ভাষ্কর্য বৃহস্পতিবার সরিয়ে নিয়েছে হংকং-এর একটি নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ঐ ক্যাম্পাসে থাকা ভাষ্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি বিবেচনা করতে ইউনিভার্সিটি অব হংকং-এ বৃহস্পতিবার সকালে জমায়েত হন শিক্ষার্থী এবং উপস্থিত লোকজন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ভাষ্কর্যটি স্টোরেজে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে "বাইরে থেকে আসা আইনী পরামর্শ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে ঝুঁকি মূল্যায়ন করে" বুধবার তারা ভাষ্কর্যটি সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চীনে রক্তাক্ত সেই দমন অভিযান স্মরণে সাবেক এই ব্রিটিশ কলোনির অল্প কিছু স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে ক্ষুব্ধ মানুষের ধড়ের ঐ শিল্পকর্মটি অন্যতম। চীনে প্রকাশ্যে সেই দমন অভিযানের স্মরণে কোন কিছু করা যায় না। ভাষ্কর্যটি ‘পিলার অব শেম’ বা লজ্জার স্তম্ভ হিসাবে পরিচিত। ১৯৯৭ সালে হংকং-কে আবার মূল ভূখণ্ড চীনের অংশ করার সময় যে বিস্তৃত পরিসরে স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, ভাষ্কর্যটি তার প্রতীক। ১৯৮৯ সালের সেই তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চালানো দমন অভিযান সম্পর্কে কখনোই বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেনি চীন। কর্তৃপক্ষ ৩০০ মানুষ নিহত হয় বলে একটি হিসাব দিয়েছিল, তবে বিভিন্ন অধিকার গোষ্ঠী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়।