ছাত্রদের চুল কেটে দেবার প্রমাণ মিলেছে, বলছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান

অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিস্কারদাবীতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা- ফটো- প্রতীক ওমর

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে ৫সদস্যের তদন্ত কমিটি। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ, কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে আলাদা কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ফলে তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, কমিটির সদস্যরা নিরপেক্ষভাবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখেছেন। সিসিটিভির ফুটেজ, ঘটনার সময় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের সাথে একাধিকবার কথা বলে ওই ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছি। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বারবার সময় নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠকে আসেননি। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই গত ২১শে অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কমিটি। তদন্তে প্রমাণ মেলায় ওই শিক্ষিকাকে শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করেছে কমিটি।

এদিকে গতকাল রোববার, ২৪ অক্টোবর কর্মসূচি চলাকালে বিকেল ৪টার দিকে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বাইরে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ও তদন্ত কমিটির প্রধানসহ ৩৩ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে মধ্যরাতের দিকে ভবনের তালাখুলে আটকে পড়াদের বাসায় নিজ উদ্যোগে পৌছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র একটি তদন্ত দল ক্যাম্পাসে আসবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করতে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে গত ২২ অক্টোবরের বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ওই দিন রাত থেকে আবারো অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার স্থায়ী বহিস্কারের দাবীতে তাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে।