গুগল-ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বকেয়াসহ রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের রায়ের অনুলিপি প্রকাশ

গুগল, টুইটার, ইউটিউব এবং ফেসবুকের লোগোর কোলাজ- ফাইল ফটো- এপি

বৃহস্পতিবার, গত বছরের ৮ নভেম্বর দেওয়া গুগল-ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বকেয়াসহ রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বকেয়াসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশের উচ্চ আদারত। আদালত একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধনও বাধ্যতামূলক করে। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব লেনদেন থেকে মূসক, টার্নওভার কর সম্পুরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর এবং আয়কর প্রদানসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায় এবং বকেয়াসহ রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।

এছাড়া ছয় মাস পর পর গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সকল প্রকার লেনদেন থেকে মূসক, টার্নওভার কর সম্পুরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর এবং আয়কর প্রদানসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায় করে হলফনামা দাখিল করতে রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয় , মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২- এর ৪ ধারা অনুসারে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে মূসক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪- এর ধারা ৭৫ মোতাবেক গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে বাধ্য।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক ও ব্যারিস্টার সাজ্জাদুল ইসলাম। তারা জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন।