ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে জি-সেভেন জোট

উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের লিভারপুলে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত দিনে জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন মন্ত্রীরা একটি পারিবারিক ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন। ১২ ডিসেম্বর, ২০২১।

শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রোধে একটি চুক্তিতে রাজি হওয়ার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণের পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে তারা।

বৈশ্বিক হুমকির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী, ঐক্যফ্রন্ট উপস্থাপন করতে বিশ্বের ধনী দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের লিভারপুলে দু’দিনের এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।

ইরানের বিষয়ে, জি-সেভেনের আয়োজক ব্রিটেন বলেছে, ভিয়েনায় পুনরায় আলোচনা শুরুর অর্থ হচ্ছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির জন্য “একটি গুরুতর সমাধানের উদ্দেশে আলোচনার টেবিলে আসার শেষ সুযোগ”।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী লিজ ট্রাস আলোচনা শেষ হওয়ার পর, এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন: ইরানের হাতে এখনও সময় আছে এই চুক্তিতে সম্মত হওয়ার।

ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে ২০১৫ সালে করা চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করার জন্য বৃহস্পতিবার আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে, যা থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

পশ্চিমা শক্তিগুলি বলছে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হতে পারে। যদিও ইরান দাবি করে, তারা কেবল একটি বেসামরিক সক্ষমতা বিকশিত করতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রস্তুত। ইরানের কর্মকর্তারা মনে করেন, তারাও আলোচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে আগ্রহী।

কিন্তু পশ্চিমা শক্তিগুলো তেহরানকে এই বছরের শুরুর দিকে আলোচনার অগ্রগতিতে পিছিয়ে দেয়ার অভিযোগ এনেছে এবং বলছে, তারা কেবল কালক্ষেপণ করছে।

অন্যদিকে, ইরানের পাশাপাশি সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র ইউক্রেনে সম্ভাব্য আক্রমণের আশঙ্কা এবং সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েন, আলোচনায় গুরুত্ব পায়।

ট্রাস বলেন, “সকলে একযোগে বলেছে... যে ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ, রাশিয়ার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে”।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সপ্তাহের শুরুতে পশ্চিমা উদ্বেগের বিষয়টি জানানোর উদ্দেশ্যে, তার রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক করেন।

কূটনৈতিক উপায়ে অচলাবস্থা নিরসনের জন্য তিনি আগামী সপ্তাহে ইউরোপ এবং ইউরেশীয় বিষয়ক তার শীর্ষ কূটনীতিককে কিয়েভ এবং মস্কোতে পাঠাচ্ছেন।

রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের ন্যাটোর সাথে ঘনিষ্ঠতার প্রেক্ষিতে, তাদের সামরিক পদক্ষেপ একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা।