করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১২ জন শনাক্ত হয়েছেন। টানা ৫৮ দিন পর শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ৫ শতাংশের উপরে উঠে গেছে। জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা করোনার গ্রাফ ঊর্ধমুখি হওয়ায় চিন্তিত। তারা বলছেন, জনগণ স্বাস্থ্যবিধি একদম মানছেন না। একইসঙ্গে প্রশাসনের তরফেও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকেও গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। বলেছেন, হেলাফেলা করা যাবে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। জনসমাবেশে নির্ধারিত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। টিকা নিন বা না নিন সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা যেন না ভাবি করোনা কমে গেছে। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার কি দরকার। এটা কিন্তু না। মনে রাখতে হবে, গত বছর গ্রীষ্মকালেই করোনার সংক্রমণ বেড়েছিল। এবারও যে তা হবে না এর কিন্তু কোন নিশ্চয়তা নেই।
Your browser doesn’t support HTML5
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের এক বছরের মাথায় এসে বাংলাদেশকে আবারও নতুন করে হিসেবে মেলাতে হচ্ছে। একদিকে টিকাদান চলছে, অন্যদিকে সংক্রমণ সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। মাস দুয়েক যাবত পরিস্থিতি এমনই হয়েছিল, মনে করা হতো না এদেশে কখনো করোনা ছিল। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক, প্রচ- যানজটে অস্থির জনজীবন। বিয়ে-শাদী, পিকনিক, সমুদ্র ভ্রমণ স্বাভাবিকের চেয়েও ছিল স্বাভাবিক। রাজনৈতিক জনসভাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩০শে মার্চ থেকে খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৪৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বিদেশি প্রকৌশলীরাও রয়েছেন। মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন, প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটর করা জরুরি। কারণ কখন কি পরিস্থিতি হয়। বিমানবন্দর, স্থলবন্দরগুলোতে কড়াকড়ির ওপরও জোর দেন তারা।