যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আরেকবার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লো ফেসবুক। মঙ্গলবার একজন সেনেটর ঐ সতর্ককারীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ফেডারেল নিয়ন্ত্রকদের প্রতি তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। সতর্ককারী অভিযোগ করেছে যে কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার চেয়ে উচ্চ মুনাফার দিকেই বেশি নজর রাখে।
সেনেট কমার্স উপ-কমিটির কাছে উদ্বোধনী বক্তব্যে, ডেমোক্র্যাট চেয়ারম্যান সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথল বলেন, ফেসবুক জানে যে তাদের পণ্যগুলি সিগারেটের মতোই আসক্তিযুক্ত।
তিনি ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গকে ঐ কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে ফেসবুকের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানান।
উপ-কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান, মার্শা ব্ল্যাকবার্ন বলেছেন, ফেসবুক তাদের পাতায় ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রতি কোনো নজর দেয়নি। “এটা স্পষ্ট যে ফেসবুক শিশু এবং সকল ব্যবহারকারীর কল্যাণের চেয়ে মুনাফাকেই অগ্রাধিকার দেয়”।
ফেসবুকের মুখপাত্র কেভিন ম্যাকএলিস্টার শুনানির আগে এক ইমেইলে উল্লেখ করেন, কোম্পানিটি ভোক্তাদের সুরক্ষাকে মুনাফা বাড়ানোর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। তিনি বলেন, ইনস্টাগ্রাম কিশোরীদের জন্য "বিষাক্ত"- অভ্যন্তরীণ গবেষণায় ফাঁস হয়ে যাওয়া এমন তথ্য মোটেও সঠিক নয়।
ফেসবুকের প্রাক্তন প্রোডাক্ট ম্যানেজার ফ্রান্সেস হোগেন বলেন, কোম্পানি্টি তাদের হিসাব-নিকাশ এবং কাজকর্ম গোপন রাখে। শুনানির জন্য প্রস্তুতকৃত লিখিত সাক্ষ্যে তিনি বলেন, “সমস্যাটির সারমর্ম হল, ফেসবুকের ধ্বংসাত্মক দিকগুলো ফেসবুকের চেয়ে ভালো আর কেউ বুঝতে পারে না। কারণ আসলে কী হচ্ছে, তা শুধু ফেসবুকই দেখতে পায়”।হোগেন বলেন, ফেসবুক তাদের পাতাকে সহিংসতা পরিকল্পনাকারীদের দ্বারা ব্যাবহৃত হতে না দিতে খুব কম কাজ করেছে।
মিয়ানমারে গণহত্যার পরিকল্পনাকারী ব্যক্তিরা এবং গত ৬ জানুয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোর জন্য ফেসবুক ব্যবহার করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা, যারা ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল অস্বীকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।