কঙ্গো’র পূর্বাঞ্চলে সোনার খনিতে হামলা: দুই চীনা নাগরিককে হত্যা, অপহৃত অনেকে

কঙ্গোর একটি স্বর্ণের খনিতে কর্মরত শ্রমিক

গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় একটি খনির তাঁবুতে কোডেকো মিলিশিয়াদের হামলায় দুই জন চীনা নাগরিক নিহত এবং অজ্ঞাত সংখ্যক লোককে অপহরণ করা হয়েছে বলে, বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।

স্থানীয় প্রধান এবং সুশীল সমাজের একজন নেতাও এই দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেছেন, বুধবারের ওই হামলার পর আরো আটজন চীনা নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন। এই ঘটনার জন্য তারা অত্র এলাকায় সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির একটি কোডেকোকে দোষারোপ করেছে।

হামলাটি ঘটেছে ইতুরি প্রদেশের জুগুতে, যেখানে একটি সোনার খনিতে চীনা নাগরিকরা কাজ করছে। ইতুরি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জুলেস এনগোঙ্গো বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোডেকোরর সদস্যরাই জুগু অঞ্চলে আমাদের একটি অবস্থানে আক্রমণ করেছে। তারা আমাদের চীনা ভাইদের একটি ঘাঁটিতেও আক্রমণ করে, দুর্ভাগ্যবশত তাদের মধ্যে দুজনকে হত্যা এবং অন্যদের অপহরণ করা হয়”।

মন্তব্যের জন্য কোডেকো মিলিশিয়ার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া কিনশাসায় চীনা দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি। জাতিসংঘ বলেছে, ২০১৭ সাল থেকে জুগু অঞ্চলে কোডেকোর উপুর্যপুরি হামলায় শত শত বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার লোকজন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

রবিবার রাতে জুগু অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোকদের উপর হামলায় প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছে, যেটির জন্য সরকারও কোডেকোকেই দায়ী করেছে।

কোডেকো-এর যোদ্ধারা মূলত লেন্দু চাষি সম্প্রদায় থেকে এসেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে হেমা পশুপালকদের সাথে বিরোধে লিপ্ত। অশান্ত কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বুধবারের ওই হামলাটি এক সপ্তাহের মধ্যে সোনার খনিতে কর্মরত চীনা নাগরিকদের উপর দ্বিতীয় হামলা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার বন্দুকধারীরা দক্ষিণ কিভু প্রদেশের একটি খনির কাছে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে এবং পাঁচ জন চীনা নাগরিককে অপহরণ করেছে।