দক্ষিণ চীন সাগরে শক্তি প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে চীন: কামালা হ্যারিস

দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া ভ্রমণের দ্বিতীয় ধাপে, ভিয়েতনাম যাওয়ার আগে সিঙ্গাপুরের গার্ডেন বাই দ্য বে -তে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস.২৪ আগস্ট ২০২১।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস মঙ্গলবার বলেছেন, চীন "দক্ষিণ চীন সাগরের বিশাল অংশের উপর শক্তি প্রয়োগ করা, ভয় দেখানো এবং দখল করা অব্যাহত রেখেছে।"

সিঙ্গাপুর সফরকালে হ্যারিস বলেন, চীনের পদক্ষেপ "নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলাকে ক্ষুণ্ন করছে এবং রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।"

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন চীনের প্রভাব মোকাবেলাকে তার পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নিয়েছে।

হ্যারিস বলেন, "এই হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে রয়েছেএবং আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের কর্মকাণ্ড কোন একটি দেশের বিরুদ্ধে নয়, অথবা এটি এমনভাবে নকশা করা হয়নি যে কাউকে কোন দেশের পক্ষ নিতে বলা হচ্ছে। বরং ঐ অঞ্চলে আমাদের এই সম্পৃক্ততা একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে আমাদের অংশগ্রহণ এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।"

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র, ওয়াং ওয়েনবিন ‘এর উত্তরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি ব্যবস্থাকে অনুসরণ করছে যেখানে অন্যান্য দেশকে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অপবাদ দিতে পারে, শক্তি প্রয়োগ এবং হয়রানি করতে পারে যার জন্য তাদের কোন মূল্য দিতে হবে না।"

হ্যারিস বলেন, তিনি শান্তি ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখা, সাগরে স্বাধীনতা, অবাধ বাণিজ্য, মানবাধিকারকে এগিয়ে নেওয়া ও আন্তর্জাতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিজ্ঞা নিশ্চিত করছেন।

ঐ অঞ্চলের কোটি কোটি ডলারের বাণিজ্যের জন্য এই অঞ্চলের সমুদ্রপথের উপর নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস।

তিনি বলেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যারা রয়েছেন তারা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং বন্যা সহ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি বোঝেন এবং সংকটটি "আরও তীব্র হয়ে উঠছে।" হ্যারিস আরও বলেন যে একটি পরস্পরসংযুক্ত বিশ্বে, সমস্যাটি সবাইকে প্রভাবিত করে এবং "সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।"

মিয়ানমার সম্পর্কে, যা বার্মা নামেও পরিচিত, হ্যারিস বলেন, এই বছরের শুরুতে সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত অভ্যুত্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র "গভীরভাবে উদ্বিগ্ন"।

হ্যারিস বলেন, "আমরা হিংসাত্মক দমন অভিযানের নিন্দা জানাই, এবং সেখানকার জনগণকে তাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।আমরা আশা করি ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলের অন্যান্য দেশসমুহ এই প্রচেষ্টায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে।"