আমাদের এই কল ইন শো হ্যালো ওয়াশিংটনের আজকের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বণাম সাংঘর্ষিক রাজনীতি । আপনাদের জিজ্ঞাসা আর আমেদের বিশেষজ্ঞদের জবাবের এই আসরে আজ প্যানেলে রয়েছেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানি , যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার এমেরিটাস এবং বর্তমানে ফ্লোরিডার রলিংস কলেজের অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসার ড জিল্লুর রহমান খান। রয়েছেন বিশিষ্ট লেখক এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স ও প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল , যিনি তরুণ প্রজন্মকে বার বার উৎসাহিত করেছেন , মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় । যিনি মুক্তিযদ্ধে তাঁর বাবাকে শহীদ হতে দেখেছেন। আরো আছেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা , নাট্যকর্মী , চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং শাহবাগ চত্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনাব নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ।
এই তো মাত্র গতকালই গোটা বাংলাদেশ উদযাপন করলো স্বাধীনতার ৪২ তম বার্ষিকী । বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালিদের মনে যে চেতনার সঞ্চার করেছে , সেটি সকলকেই ঋদ্ধ করেছে এই গত বিয়াল্লিশ বছর । যে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত বলে এক সময়ে মনে করা হতো , সেই তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই জেগে উঠলো শাহবাগ চত্বরে, প্রজন্ম মঞ্চে । যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি উচ্চারিত হলো সমস্বরে। কিন্তু চলমান রাজনীতির বাইরে এই স্বাজাত্যবোধ সম্পন্ন দাবি নিয়ে ও রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক উঠলো। নির্বাচনের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে , রাজনৈতিক দলগুলো এই অবিতর্কিত চেতনাকে পাশ কাটিয়ে নানান বিতর্কে লিপ্ত হলো। তারই জের চলছে আজ অবধি। এই সাংঘর্ষিক রাজনীতি অবসানের জন্যে যেমন বিবদমান দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রযোজন বলে অনেকেই মনে করেন , তেমনি আবার মানবতাবিরোধী অপরাধীদের শাস্তি বিধান যেন রাজনৈতিক কুটতর্কে হারিয়ে না যায় সেটি ও মনে করেন বহু লোক । সেজন্যেই সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন হয়ে দাড়িয়েছে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বি।
শ্রোতাদের প্রশ্ন ও মন্তব্য নিয়ে আলোচনা করছেন আমাদের বিজ্ঞ প্যানেলিস্ট।
Your browser doesn’t support HTML5
Your browser doesn’t support HTML5
Your browser doesn’t support HTML5