ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আসামের দক্ষিণ শালমারা জেলায় রাতে টহল দেওয়ার সময় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র তিনজন সেনাকে দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেছে। বিএসএফের একজন মুখপাত্র আজ জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে বিএসএফের গুয়াহাটি সীমান্ত থেকে একটি বিশেষ টহলদার পার্টি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর পাহারা দিচ্ছিল। সেই সময় সীমান্তের বেড়ার ওপার থেকে 'বন্ধু বাঁচাও', 'বন্ধু বাঁচাও' বলে চিৎকার শোনা যায়। আওয়াজ পেয়ে ওদিকে কেউ বিপদে পড়েছেন আশঙ্কা করে বিএসএফের সেনারা কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে ছুটে যান।
একটু দূর থেকেই তাঁরা দেখেন, তিনজন বিজিবি সেনাকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতকারী ঘিরে ধরেছে। বিএসএফ সীমান্তের গেট পার হয়ে বন্দুক উঁচিয়ে ওই দুষ্কৃতিদের চ্যালেঞ্জ করে। তাদের আসতে দেখে রাতের অন্ধকারে ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশের সাতকুড়িবাড়ি গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। বিজিবি-র অনুমান, ওই দুষ্কৃতকারীরা চোরাচালানকারী। ওই জায়গায় চোরাচালানে বাধা পেয়ে বিজিবি-র মাত্র তিনজনকে দেখে তাঁদের ওপরে চড়াও হয়। পরে বিজিবি বাহিনীর পক্ষ থেকে বিএসএফকে দ্রুত সাহায্যের আবেদনে সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
বস্তুত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বহু জায়গাতেই দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি তাঁদের পারিবারিক সুখ দুঃখের কথাও তাঁরা নিজেদের মধ্যে বলেন। বিএসএফ এবং বিজিবি দুই বাহিনীরই বক্তব্য, দুষ্কৃতকারীরা যাতে সীমান্ত পার হয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে অবাধে চলাফেরা না করতে পারে, তা দেখাটাই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাজ। তার বাইরে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ায় কোনও বাধা নেই।