বাছাই করে সদস্য পদ দেয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপির

ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন থেকে বাছাই না করে দলে নতুন সদস্য না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে মূলত তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নেতা, বিধায়ক ও মন্ত্রীরা কোনও ভাবে অসন্তুষ্ট হলেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তার ফলে বিজেপির পুরনো কর্মী ও নেতারা ক্রমেই দলে নিজেদের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন। তাঁদের অসন্তোষের জেরেই এই সিদ্ধান্ত কিনা, বিজেপি নেতৃত্ব তা খোলাখুলি স্বীকার করেননি। কিন্তু নবাগতদের চাপে পুরনোরা যে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন সেটা বুঝতে কারও বাকি নেই। এর ফলে নানা জায়গায় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গত বছর দুয়েকের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহু নেতা ও কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, অন্য দল থেকে আমাদের দলে বেনোজলের মতো লোক ঢোকা বন্ধ করতে হবে। এখন থেকে আমরা ঠিক করেছি বাছাই করে সদস্য পদ দেব।

Your browser doesn’t support HTML5

বাছাই করে সদস্য পদ দেয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপির

একই কথা বলেছেন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর বক্তব্য, "এই মুহূর্তে আরও অন্তত ৪০ জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগদানের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। তবে আমরা এখন থেকে খুব বেছে বেছে দলে অন্তর্ভুক্ত করব ঠিক করেছি। যাঁরা আমাদের দলে আসতে চান, তাঁদের নামে তোলাবাজি, অথবা গরু পাচার চক্র, বালি মাফিয়া চক্র, কয়লাখনি চক্র, ইত্যাদির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। যাঁদের নামে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের আমরা কোনওমতেই বিজেপিতে নেব না। আমরা তৃণমূলের মত তোলাবাজ, দূর্নীতিগ্রস্তদের দলে পরিণত হতে চাই না।" বিজেপির এই সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে নতুন করে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক কমবে বলে মনে হয়।