ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি আজ হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই সফরটির প্রস্তুতি চলছিল গত প্রায় দু বছর ধরে আর একদিন দেরি হলো আফগানিস্তান নিয়ে সলাপরামর্শের কারণে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন যে এই সফরের পেছনের বার্তাটি হচ্ছে, “ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখন্ডতা এবং ইউরো-অ্যাটলান্টিক আগ্রহের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ।
কর্মকর্তারা সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন আলোচ্যসূচীর মধ্যে থাকছে নিরাপত্তার বিষয় , জ্বালানি শক্তি,জলবায়ু নীতিত এবং ইউক্রেনের দূর্নীতি বিরোধী প্রচেষ্টা।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন দু পক্ষ একাধিক চুক্তির কথা ঘোষণা করবেন যার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা সহযোগিতা , ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে সংকটের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য মানবিক সাহায্য এবং করোনাভাইরাসের কারণে সহায়তা প্রদান।
বিশ্লেষকরা বলছেন ওয়াশিংটনে বাইডেন ও জেলেন্সকির বৈঠকে যেমন কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে , তেমনি রয়েছে সুয়োগও । যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মার্কারোভা এই সফর সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সম্পর্ক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হচ্ছে। ভয়েস অফ আমেরিকাকে মার্কারোভা বলেন , “ জার্মান চান্সালার আঙ্গেলা মার্কেলের পর প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি হচ্ছেন দ্বিতীয় নেতা যাঁকে কৌশলগত কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সুতরাং আমি বিশ্বাস করি এতে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব ও মনোযোগ ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে তা বোঝা যায়।
আমেরিকান বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে সহমত যে বাইডেন -জেলেন্সকি বঠেক হচ্ছে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটা সুযোগ । ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন পাইফার বলছেন এই বৈঠকের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করছে জেলেন্সকির উপর ।
যে সব স্পর্শকাতর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে তা হলো নেটোর সদস্যপদ এবং রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে নর্ড স্টিম-টু গ্যাস পাইপলাইন। ইউক্রেন এই পাইপলাইনের বিরোধীতা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা গুরুত্বপূর্ণ যে এ সব বিষয়ে আলোচনার সময়ে জেলেন্সকি ভারসাম্য রক্ষা করেন এবং বাস্তববাদের পরিচয় দেন।