আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে হতে যাচ্ছে কোয়াড সম্মেলন

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা জাপানের টোকিওতে তার সরকারি বাসভবনে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের সময় বক্তব্য রাখছেন। ১২ মার্চ ২০২১।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে কোয়াড বা চার দেশীয় নেতাদের সম্মেলনের আয়োজন করবেন। এই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের নেতারা অংশ নিচ্ছেন।চীনের ক্রমবর্ধমান দৃঢ় মনোভাবকে রুখে দেবার জন্য তারা সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেনসাকি এক বিবৃতিতে জানান, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার যুক্তরাষ্ট্র সফর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে বাইডেন ২১ সেপ্টেম্বর ভাষণ দেবেন।

মার্চ মাসে এই চার দেশীয় নেতাদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।ঐ বৈঠকে তারা কোভিড -১৯ টিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং বেইজিংয়ের চ্যালেঞ্জের মুখে মুক্ত ও খোলা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন।

সাকি বলেন, "চার দেশীয় নেতাদের এই সম্মেলনের আয়োজন এটা প্রকাশ করে যে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নতুন বহুপাক্ষিক রূপরেখা ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্ত থাকার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল জুলাই মাসে বলেছিলেন, দীর্ঘ পরিকল্পিত সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে এই বৈঠকে ভ্যাকসিন কূটনীতি এবং অবকাঠামো বিষয়ে "চূড়ান্ত" কয়েকটি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে বড় অবকাঠামোগত ব্যয় এর বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জোর দিচ্ছেন।মার্চ মাসে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে চীনের ব্যাপক বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, যেখানে মধ্য পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত নানা প্রকল্প জড়িত রয়েছে, ঐ উদ্যোগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলির একটি অবকাঠামো পরিকল্পনা থাকা উচিত।

সাকি বলেন যে চার দেশীয় নেতারা "কোভিড-১৯ মোকাবেলা, জলবায়ু সংকট মোকাবেলা, নতুন প্রযুক্তি এবং সাইবার স্পেস নিয়ে অন্যান্যদের সঙ্গে কাজ করা এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তুলতে সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে বাস্তবিক অগ্রগতির দিকে মনোযোগ দেবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনায় বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে অবকাঠামোর বিষয়টি থাকবে।