বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলায় সাতটি দেশের কূটনীতিকের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা নিয়ে বৃহস্পতিবার ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা আলাদা করে যে টুইট করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত৷ তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোন দেশে রাষ্ট্রদূতদের জটলা করে এমনভাবে বিবৃতি দিতে দেখিনি, যা খুবই দুঃখজনক। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কূটনীতিকরা প্রটোকল মানবেন এবং সেভাবেই কাজ করবেন। বলেন, তাদের যদি কোনে অভিযোগ থাকে, তবে তা প্রটোকল অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে পারতেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা তাঁদের পৃথক টুইট বার্তায় বলেন, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করে রাখার প্রয়াস নিলে তার ফল ভালো হয় না৷ এই সমস্যা সংকুল সময়ে বাক স্বাধীনতা অন্য যে কোনে সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, সাংবাদিকদের স্বাধীন ও মুক্তভাবে কাজ করতে দিলে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নির্ভরযোগ্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
যারা টুইট বার্তা গুলো দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা স্লাইটার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পেটারসন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ।
Your browser doesn’t support HTML5