আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করতে রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমারের বৈঠক: মন্তব্য রোহিঙ্গাদের

মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সাথে রোহিঙ্গাদের দুই দিনের বৈঠকে কোন সফলতা আসেনি। শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গা বিরোধী একগুয়েমি মনোভাব বজায় ছিল মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের আলোচনায়। রোহিঙ্গাদের জাতিগত স্বীকৃতি কিংবা নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে কোন সদুত্তর মিলেনি। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলও স্বীকার করেছেন, এটি ছিল একটি ব্যর্থ বৈঠক। তবে রোহিঙ্গারা দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করতে রোহিঙ্গাদের সাথে লোক দেখানো বৈঠক করেছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ধারণা, গণহত্যার অভিযোগসহ আন্তর্জাতিক চাপ থেকে বাঁচার জন্য মিয়ানমারের নানামুখী কৌশলের অংশ হতে পারে এই বৈঠক।

মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে কোন ধরণের ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে হতাশ হয়েছে দুই দিন ধরে বৈঠকে থাকা রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে গিয়েও ক্যাম্প জীবন গ্রহণ করার চেয়ে, বাংলাদেশের ক্যাম্প জীবনে তারা বেশ ভালোই আছেন। অধিকারের প্রতিশ্রুতিহীন এই ধরণের আলোচনা, সময় ক্ষেপন আর তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। তাই যেই আশা নিয়ে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রোহিঙ্গারা, ফিরেছেন উল্টো ভীতি আর শংকা নিয়ে।

বৈঠক শেষে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের প্রধান, সেদেশের Ministry of Foreign Affairs এর International Organizations and Economic Department এর Director General, Chan Aye জানিয়েছেন, অধিকারের মতো রাজনৈতিক কোন বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেনি, তারা কেবল মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
Chan Aye জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জাতিগত স্বীকৃতি এবং নাগরিক অধিকার দেয়া হবে না, তবে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতা করা হবে।

এই ধরণের প্রতিশ্রুতিহীন আলোচনার কোন ফলাফল আছে কিনা- মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে জানতে চাইলে প্রতিনিধি দলের প্রধান সরাসরি বলেন, এই বৈঠকের কোন ইতিবাচক ফলাফল আসেনি।

বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গারাদের জাতিগত পরিচয় এবং নাগরিকত্ব অস্বীকার করলে, তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেন রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে টানা দুই দিনের বৈঠকে মিয়ানমারের ৯ সদস্যদের প্রতিনিধি ও আসিয়ানের ৭ সদস্যের প্রতিনিধির সাথে কথা বলেছেন প্রায় অর্ধশত রোহিঙ্গা।

Your browser doesn’t support HTML5

কক্সবাজার থেকে মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলের রিপোর্ট।