ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর রিট খারিজ

বাংলাদেশে সরস্বতী পূজার দিনে ভোট নিয়ে বিতর্কের অবসান হয়নি। উচ্চ আদালতে এ সম্পর্কিত একটি রিট খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে।

বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলম-এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দু’দিন শুনানির পর রায়ে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯শে জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারেও ২৯ তারিখ ছুটির কথা বলা আছে। নির্বাচন কমিশন ৩০ তারিখ ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। তার দুই দিন পর এসএসসি পরীক্ষা। এই অবস্থায় ভোট পেছানোর সুযোগ নেই, রিটটি খারিজ করা হলো।

এই খবর চাউড় হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, পূজা ও নির্বাচন একই দিনে হতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা ১৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে নয়া কর্মসূচি দেয়া হবে।

৩০শে জানুয়ারি ভোটের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রতিবাদমুখর ছিল পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদও ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানায়। নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় বিষয়টি গড়ায় আদালতে। আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ রিট আবেদনে বলেন, স্বরস্বতী পূজা ২৯শে জানুয়ারি সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৩০শে জানুয়ারি বেলা ১১টা পর্যন্ত। ভোটের কেন্দ্র সাধারণত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে থাকে। সরস্বতী পূজাও হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এ কারণেই পূজা উদযাপন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

রাষ্ট্র পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর-উস সাদিক বলেন, সরকারি ছুটির তালিকা দেখেই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ভোট পেছানোর কোন সুযোগ নেই।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সংক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও মর্মাহত। কারণ উচ্চ আদালতেও এ দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা এর কোন প্রতিকার পেল না। রিটকারী আইনজীবী জানান, হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।