চাল নিয়ে চালবাজি হচ্ছে। বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম নিজেই এ খবর দিলেন। বললেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ চাল রয়েছে। তারপরও চালের দাম বাড়ছে। এ থেকেই বোঝা যায় চাল নিয়ে শুধু চালবাজি নয়, রাজনীতিও হচ্ছে। চালের বাজার বেসামাল হওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী, এক শ্রেণীর মিল মালিকরা এটাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
চালের দামে ঊর্ধ্বগতি অনেক দিন থেকেই। মোটা চালের দাম ৫০ টাকার উপরে চলে গেছে। চাল ব্যবসায়ীদের মতে, ষড়যন্ত্র বা চালবাজি কিছু নেই। চালের সরবরাহ কম, এ জন্য দাম বাড়ছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এক কোটি টন চাল দেশে থাকার পর দাম বাড়ার কথা নয়। মন্ত্রী ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের প্রতি হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, ভাল হয়ে যান। এখনও সময় আছে। চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য দফায় দফায় শুল্ক কমানো হয়। এতেও কাজ হয়নি। বিদেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগও সফল হয়নি। অতিসম্প্রতি ১০ লাখ টন চাল কেনার লক্ষ্য নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী মিয়ানমার সফর করেন। মিয়ানমার কোন প্রতিশ্রুতি দেয়নি। আশ্বাস দিয়েছে মাত্র ৩ লাখ টনের। ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাল ও গমের মজুদ ছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার টন।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।
Your browser doesn’t support HTML5