ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নানা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নিয়ে দেশজুড়ে আলাপ-আলোচনা যেমন চলছে, তেমনি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিও জানাচ্ছেন সুশীল সমাজসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংগঠন এবং সংস্থাগুলো। তারা বলছেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন নিদারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে, রামপালের স্থানীয় জনগণ বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের আগেই জমি অধিগ্রহণসহ নানা কারণে তারা ইতোমধ্যেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তারা জানান, শুধু রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যই নয়, অন্যান্য নানা ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানীও জমি দখল করছে, বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। রামপালের দু’জন বাসিন্দা-সুশান্ত দাস এবং পারভেজ হোসেন ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানিয়েছেন, তারা কিভাবে ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বিশিষ্ট পরিবেশ সক্রিয়বাদী এবং পরিবেশ আইনজীবী সংস্থা বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেছেন, কেন তারা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কেমন পরিস্থিতি চলছে সে সম্পর্কে।
বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, শুধু সুন্দরবনের ক্ষতির বিবেচনায়ই নয়, রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অর্থনৈতিকভাবেই লাভজনক কোন প্রকল্প হবে না। ঢাকা থেকে আমীর খসরু।
Your browser doesn’t support HTML5