বাংলাদেশে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসার ব্যাপারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা বলেছে, সংলাপ! কিসের সংলাপ। কেবলমাত্র পুনঃনির্বাচন নিয়ে সংলাপ হলে তারা বিবেচনা করে দেখতে পারে।
রোববার দুপুরে আচমকা সংলাপের ডাক দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফের মতবিনিময় করবেন। এ জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে ৭৫টি দলের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপ করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কোন দাবিতেই ছাড় দেননি। এ কারণে এবার সংলাপের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো সচেতন বলে মনে হচ্ছে। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠিয়ে সংলাপ চেয়েছিলেন। এর পরই সংলাপে প্রধানমন্ত্রী সাড়া দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এক সংলাপে দেশ পিছিয়েছে। আরেক সংলাপে আরো সর্বনাশ দেখছি।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা যেখানে পুনঃনির্বাচন দাবি করেছি। সেখানে সংলাপ হতে পারে আরেকটি নির্বাচনের জন্য।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের মুখপাত্র রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, যারা এক কলঙ্কজনক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তারা কেন সংলাপ চাচ্ছে? তাদেরকে বৈধতা দেয়ার জন্য বাম ফ্রন্ট এ ধরনের সংলাপে যাবে না।
চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বলেছে, এজেন্ডা দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
Your browser doesn’t support HTML5