নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ‘ক্লিনিকালি ডেড’

বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম

ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ১২২ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়ে নিজেই এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম। নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আতাউল ক্লিনিক্যালি ডেড বলে জানিয়েছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর অন্য সহকর্মীরাও একই কথা বলছেন। তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা এই অবস্থাকে মেনে নিতে পারছেন না। তারা অনুমতি না দেওয়ার কারণে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হচ্ছে না। পরিবারের সদস্যরা নতুন করে মেডিকেল বোর্ড গঠনের দাবি করেছেন। তারা বলছেন, মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে ভেন্টিলেশন খোলা না খোলার বিষয়টি নেওয়ার। পরিবারের সদস্যরা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য শেষ চেষ্টা করার অনুরোধ করেছেন চিকিৎসকদের।

পরিবারের সাথে ক্যাপ্টেন নওশাদ

গত শুক্রবার ভোরে ১২২ জন যাত্রী নিয়ে মাস্কাট থেকে ঢাকা আসার মাঝ পথে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭ ফ্লাইটের পাইলট হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কো-পাইলটকে অনুরোধ করেন কোথায়ও জরুরি অবতরণের জন্য। পরে বিমানটি ভারতের নাগরপুর বিমানবন্দরে নিরাপদে জরুরিভাবে অনুমতি নিয়ে অবতরণ করে। এরপর পাইলটকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। অন্য যাত্রীদের শুক্রবার রাতে ঢাকা ফিরিয়ে আনা হয়। আকাশ পথে চালকের আসনে বসা অবস্থায় পাইলট আতাউল মারাত্মকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। নাগপুর হাসপাতালে তার এনজিওগ্রাম করা হয়। কিন্তুু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে পরিস্থিতির অবনতি হয়। নওশাদ আতাউল কাইউম পাইলট হিসেবে সব সময় সহকর্মীদের কাছে প্রশংসিত ছিলেন। বাংলাদেশ বিমানের আরেকটি ফ্লাইটকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে তিনি এর আগে রক্ষা করেছিলেন। চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ড সোমবার তার সার্বিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করবেন বলে জানা গেছে।