বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলের ভিত্তিতে ৪৭০টি উপজেলায় পাঁচ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন রোববার শেষ হয়েছে। যদিও পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই অংশ নিচ্ছে না। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে বিগত তিন ধাপের নির্বাচনের মতোই অর্থাৎ অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে স্বল্প সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি, নানা অনিয়ম আর নির্বাচনী উত্তাপ ও প্রকৃত প্রতিদ্বন্দিতাবিহীন অবস্থায়। চতুর্থ ধাপের ১০৭টি উপজেলার মধ্যে সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ১৫টি উপজেলায় কোন ভোট গ্রহণের প্রয়োজনই হয়নি। আর ৩৯টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ঐ উপজেলায় অন্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৪৭০টি উপজেলার মধ্যে এ পর্যন্ত ১১০ উপজেলায় ১১০ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে টাঙ্গাইল ও ঢাকার ধামড়াইয়ে নৌকা প্রতীকে অবৈধভাবে সিল মারা ও নির্বাচন আচারণবিধি লংঘনের দায়ে দুইজন প্রিসাইডিং অফিসারসহ কমপক্ষে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। নারায়নগঞ্জে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে একজন প্রার্থীসহ তিনজনকে আটক করা হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ভোট কেন্দ্রে কোন ভোটার না আসা, হাতে গোনা ভোটার এসেছেন এ ধরনের কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৭টি উপজেলার মধ্যে বহু উপজেলার বহু কেন্দ্রে।
বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকগণ এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানকে খুবই হতাশাব্যঞ্জক ও ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। আর এসব বিষয় নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার জন্য বিশ্লেষণ করেছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং বিট্রানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. তোফায়েল আহমেদ।
Your browser doesn’t support HTML5