ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য প্রত্যাখান তথ্যমন্ত্রীর

বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে কথা বলার সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন- মত প্রকাশের স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ নয়, বরং নারী শিশুসহ বঞ্চিত মানুষের হয়রানি রোধে এ আইন করা হয়েছে। কারণ একজন গৃহবধু যখন হয়রানির শিকার হন তখন তাকে আইনের আশ্রয় দেয়া সরকারের দায়িত্ব।

বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা প্রত্যাখান করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন- মত প্রকাশের স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ নয়, বরং নারী শিশুসহ বঞ্চিত মানুষের হয়রানি রোধে এ আইন করা হয়েছে। কারণ একজন গৃহবধু যখন হয়রানির শিকার হন তখন তাকে আইনের আশ্রয় দেয়া সরকারের দায়িত্ব।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুনিয়াতে যখন ডিজিটাল বলে কিছু ছিলো না তখন এই ধরনের আইনের প্রয়োজন পড়তো না। এখন সাইবার জগতে অপরাধ রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছে। সাধারন মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমাদের দেশেও এই আইন প্রণয়ন হয়েছে। অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের হয়রানি বন্ধে আইনটি প্রয়োগ করা হয়, কাউকে হয়রানি করতে নয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে একপেশে অবহিত করে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পাশে দাড়িয়েছিলো। তারা প্রেট্রাল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষকে হত্যা করা আগুন সন্ত্রাসের বিপক্ষে কথা বলেনি।

কিছুদিন আগেও ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের উপর বোমা মেরে হত্যাযজ্ঞ চালায় তখনও তাদের কন্ঠস্বর বলিষ্ঠ ছিলোনা। এখন তারা যা বলছে তা সঠিক নয়। বর্তমান সরকার মানবাধিকার সংরক্ষন করে। জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করে চলছে এই সরকার। তাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তিব্যটি প্রত্যাখান করছি এবং অযৌক্তিক মনে করছি।