বাংলাদেশে ১৬টি সরকারি হাসপাতালে বাক্সবন্দি রোগনির্ণয় যন্ত্র তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে বাক্সবন্দি করে রাখা রোগনির্ণয় যন্ত্র

বাংলাদেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে বাক্সবন্দি করে রাখা ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র স্থাপন না করে ফেলে রাখার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ১৬ হাসপাতালের পরিচালকসহ ২১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে আদালতের কাছে করা এক রিটে। আদালত এসব যন্ত্রপাতি পড়ে থাকায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

আজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে প্রকাশিত খবর নিয়ে রিট আবেদন করেন মনোজ কুমার ভৌমিক। আদালত রিটটি আমলে নেন।

হাসপাতালগুলোতে ফেলে রাখা যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর। পড়ে থাকা অনেক যন্ত্রই নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকগুলো নষ্টের পথে। বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার কারণ হিসেবে বলছে, দক্ষ লোকবলের অভাব, কারিগরি সহায়তা ঠিক সময়ে পাওয়া যায়নি। এ কারণে তারা হাসপাতালে যন্ত্র কেনার পরও স্থাপন করতে পারেননি।

বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে ফেলে রাখা রোগনির্ণয় যন্ত্র

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রোগীদের রোগ নির্ণয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক সময় জটিল অসুখে রোগ নির্ণয়ে রোগীরা পাশের দেশ ভারতসহ ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর যায়। এতে ব্যাপক অর্থ ব্যয় হয়। পরিস্থিতির অবসানে সরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের সব ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অর্থ ব্যয় করে যন্ত্রপাতিও ক্রয় করা হয়। কিন্তু সেই যন্ত্র আর স্থাপন হয় না। শুধু নিজেদের বাণিজ্যের জন্যই সিন্ডিকেট করে এভাবে যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়।

এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, তারা রোগ নির্ণয়ে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। বিষয়গুলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সংবাদপত্রে রিপোর্টের রেশ ধরে সব কিছু আদালতে গড়াল।