বাংলাদেশের ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের অধিবাসীদের চুল কাটতে হবে ‘সুন্নতি, অথবা ডিফেন্স বা আর্মি স্টাইলে। অন্য কোনো স্টাইলে চুল কাটলে সেলুন মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নোটিস দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার। এই নোটিস ইউনিয়নের সব হাটবাজারে লাগিয়েছেন তিনি।
এর প্রতিবাদ করায় এক কিশোরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন। তিনি স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন।
ভোলা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এরপর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান রাহুল জানান, ইউপি চেয়ারম্যান এরকম নোটিস জারি করতে পারেন না। এতে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার বলেন, এ নোটিস বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ ও ৩২ ধারা লঙ্ঘন করে মানুষের জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।
ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘আমি স্থানীয় মুসলমানদের সঙ্গে কথা বলে ২৫ অক্টোবর নোটিস জারি করেছি। তবে কতটুকু সঠিক করেছি বা ভুল করেছি, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি এখন।