“দ্যা ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড” এ ভূষিত হলেন বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থী

দৈনন্দিন কাজের বাইরে গিয়ে সামাজিক পরিবর্তন এবং উন্নতিতে ভূমিকা রাখার কারণে “দ্যা ডায়ানা অ্যাওর্য়াড” এ ভূষিত হয়েছেন তিনি।

ফিটফাট শান্ত প্রকৃ্তির ছেলে মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই ভাবতেন সমাজ সভ্যতার ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা। সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় চর্চা। দৈনন্দিন কাজের বাইরে গিয়ে সামাজিক পরিবর্তন এবং উন্নতিতে ভূমিকা রাখার কারণে “দ্যা ডায়ানা অ্যাওর্য়াড” এ ভূষিত হয়েছেন তিনি। ওয়েলস এর প্রিন্সেস ডায়ানার স্মৃতিচারণে নির্মিত এই অ্যাওয়ার্ডটি তার পুত্রদয় “দ্য ডিউক অফ ক্যামব্রিজ” এবং “দ্য ডিউক অফ সাসেক্স” এর সহযোগীতায় চ্যারিটি থেকে প্রদান করা হয়। মূলত ৫টি বিষয় এর ওপর লক্ষ্য রেখে এই অ্যাওয়ার্ড এর জন্য মনোনয়ন দেয় হয়। সর্বমোট ১৩ জন বিচারক প্যানেল এর সিদ্ধান্ত এর ওপর ভিত্তি করে এই অ্যাওয়ার্ডটি প্রদান করা হয়ে থাকে।

দেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে বাংলাদেশ এর শিক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ, সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ, আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তন এর লক্ষ্যে ২০১৬ সালে মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেন “ইগনাইট ইয়ূথ ফাউন্ডেশন”। বর্তমানে ইগনাইট ইয়ূথ ফাউন্ডেশন এর একটি স্কুল রয়েছে যেখানে প্রায় ৬৭ জন দরিদ্র শিশু বিনামূল্যে শিক্ষা পাচ্ছে। এছাড়া, তার সংগঠন থেকে সাত জেলায় প্রায় ২৩ হাজার ন্যাশনাল ভলিন্টির্য়াস, ২০০ ইন্টারন্যাশনাল ভলিন্টির্য়াস এবং ৮৫টি ইউনিভার্সিটিতে অ্যাম্বাসেডররা সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। এসব কাজে ইগনাইট এর রয়েছে ২৬ সদেস্যর একটি বিশেষ টিম। ২০০০ হাজার এর অধিক রক্ত প্রদান এর পাশাপাশি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে অনলাইন এ চিকিৎসা সেবা চালুর মাধ্যমে দেশের অবস্থা উন্নয়ন এ ভূমিকা রেখেছে সংস্থাটি। ইগনাইট ইয়ূথ ফাউন্ডেশন এ কাজ করার পাশাপাশি মু্হাম্মদ জহিরুল ইসলাম ট্রেনিং,মোটিভেশনাল স্পিচ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম কে প্রতিনিয়ত অনুপ্রানিত করে আসছেন।” দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড” ছাড়া সামাজিক উন্নয়ন এ অসামান্য অবদান রাখার জন্য তিনি এর আগে আরো ৯টি পুরষ্কার পেয়েছেন।